সদস্য নিহতের ঘটনায় ইউপিডিএফ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ
১৯ মার্চ ২০২৫ ২২:৩০ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ২২:৩৯
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দংয়ে জেএসএস সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় এক ইউপিডিএফ সদস্য নিহত ও অপর এক নারী আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
বুধবার (১৯ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৭টার সময় শক্তি ত্রিপুরা ও কম্বল ত্রিপুরার নেতৃত্বে জেএসএস সন্তু গ্রুপের ১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাইন্দংয়ের হেডম্যান পাড়ায় হানা দিয়ে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ সদস্যদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য সুবি ত্রিপুরা (৩৫) নিহত হন। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে সুবি ত্রিপুরার ছোট বোন তারাবতী ত্রিপুরা (২০) কপালে জখম হয়ে আহত হয়েছেন।
নিহত সুবি ত্রিপুরা হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা বাসনা ত্রিপুরার ছেলে। আর আহত তারাবতী ত্রিপুরার স্বামীর নাম ধন ত্রিপুরা।
বিবৃতিতে তিনি স্থানীয়দের বরাতে আরও বলেন, সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসীরা গত রাতে পানছড়ির রূপসেন পাড়া এলাকা থেকে নো ম্যানস ল্যান্ড হয়ে হেডম্যান পাড়ায় এসে ওঁৎ পেতে থেকে এ হামলা চালায়। হামলার পর সন্ত্রাসীরা তাইন্দংয়ের ভগবান টিলা হয়ে ভারত সীমান্তবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ডের দিকে চলে যায়।
বিবৃতিতে অংগ্য মারমা ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সন্তু লারমা আঞ্চলিক পরিষদের গদিতে বসে তার পালিত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছেন। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বতী সরকার সন্তু লারমার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে আঞ্চলিক পরিষদে বহাল রেখেছে।
বিবৃতিতে তিনি পতিত শেখ হাসিনার সময়ে নিয়োজিত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কতিপয় স্বার্থান্বেষী কর্মকর্তা সন্তু লারমা ও তার সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা প্রদান ও মদত দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে তাইন্দংয়ে ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা ও নারীকে আহতের ঘটনায় জড়িত সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তি প্রদান এবং সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
সারাবাংলা/এইচআই
ইউপিডিএফ ইউপিডিএফ সদস্য নিহত খাগড়াছড়ি খুন নিন্দা প্রতিবাদ হত্যা