বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান বাংলাদেশ
৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:২১ | আপডেট: ৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:০৫
ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সারাবাংলা
বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের জন্য বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এর লক্ষ্য দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে আঞ্চলিক সংযোগ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন বৃদ্ধি করা। কারণ, এই ব্লকটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে বৃহত্তর সংহতকরণের চেষ্টা করছে।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চলমান ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের শেষে এই হস্তান্তরটি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সাত সদস্যের আঞ্চলিক ব্লক: বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের নেতারা ‘সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক এবং উন্মুক্ত বিমসটেক’ থিমের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে একত্রিত হয়েছেন।
যারা এই বছরের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে, বাংলাদেশ সেই থাইল্যান্ডের কাছ থেকে সভাপতিত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
এই স্থানান্তর অনুষ্ঠানটি একটি আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে। সেখানে থাই প্রধানমন্ত্রী তার সমাপনী বক্তব্য রাখবেন এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা তার মেয়াদকালে ব্লকের জন্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন।
বিমসটেকের সনদ অনুসারে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে চেয়ারম্যানের পদ বর্ণানুক্রমিকভাবে আবর্তিত হয়।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয় অংশগ্রহণকারী নেতাদের একটি প্রতীকী গ্রুপ ছবির মাধ্যমে। এরপর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, বিদায়ী বিমসটেক সভাপতি স্বাগত ভাষণ দেন।
মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্যান্য বিমসটেক নেতারা আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে তাদের দেশের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বিবৃতি প্রদান করেন।
সকালে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস থাই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রাতঃরাশের বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে বিমসটেক কাঠামোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিমসটেক আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য বিশেষ করে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, পরিবহন, জ্বালানি এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমানভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ঢাকার বিআইএমএসআরইসি সচিবালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ নেতৃত্বের দায়িত্বে থাকায়, দেশটি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সুবিধা, অবকাঠামোগত সংযোগ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির ওপর মনোনিবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নতুন বিমসটেক চেয়ারম্যান এখন সংগঠনের এজেন্ডা পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে, আঞ্চলিক ব্লকটি বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে কৌশলগত ভূমিকা পালন করে চলেছে।
সারাবাংলা/এমপি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা বিমসটেক