নোয়াখালী: নোয়াখালীর সদর উপজেলার চর উরিয়া এলাকায় অটোরিকশাচালক মো. বাবর হোসেন দিদার (১৯) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সুদের টাকা জোগাতে রিকশাচালককে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে হত্যাকারী মনিরুল ইসলাম মামুনকে। তবে উদ্ধার করা যায়নি অটোরিকশা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগতরাতে মাইজদী পেট্রোল পাম্প এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে নিহত বাবরের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মনিরুল ইসলাম মামুন নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে।
নিহত রিকশাচালক বাবর হোসেন দিদার নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৯ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার পর থেকে অটোরিকশাচালক বাবর নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে চর উরিয়া এলাকার একটি সবজি খেতে বাবরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম জানায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে আসামি মনিরুল ইসলাম মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবরকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মামুন।
ওসি আরও জানায়, মামুন এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকার ধার নেন। ৪৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ৯০ হাজার টাকা দেওয়ার চাপ আসে তার ওপর। যে কারণে অটোরিকশা ছিনতাই করে টাকা সংগ্রহ করতে বাবরকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। পরিকল্পিতভাবে মামুন রিকশাচালক বাবরকে কৌশলে জুসের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে খাওয়ায়। পরে সবজি বাগানে নিয়ে গায়ের গেঞ্জি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
অটোরিকশা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য কেউ থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে জানান ওসি।