কর্পোরেট কর ১২ শতাংশ ও বিনিয়োগবান্ধব করনীতি চায় বিজিএমইএ-বিকেএমইএ
১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫১ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫৩
ঢাকা: স্থানীয়ভাবে রিসাইকেল ফাইবার (পুনঃব্যবহারযোগ্য সুতা) উৎপাদনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি এবং তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য কর্পোরেট করহার ১২ শতাংশ বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে বিনিয়োগ বান্ধব করনীতি প্রণয়নের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় পোশাক খাতের দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাক বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এবং এসএমই ফাউন্ডেশনও অংশ নেয়।
সভায় বিজিএমইএ‘র প্রস্তাবে বলা হয়, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য কর্পোরেট কর হার ১২ শতাংশ এবং সবুজ কারখানার জন্য ১০ শতাংশ নির্ধারিত আছে, যা আগামী ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ রাখতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পে কর্পোরেট ট্যাক্স হার পরিবর্তন করা হলে স্থানীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের আস্থার ঘাটতি দেখা দিবে। এছাড়া বাজেট প্রস্তাবে এনবিআরকে বিনিয়োগ বান্ধব করনীতি প্রণয়ন করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি এবং বিভিন্ন অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জামাদি পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে আমদানির ওপর কর রেয়াত প্রদান।
আলোচনায় বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এনামুল হক বলেন, গ্যাসের দাম বেড়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কা কীভাবে সামলাবো জানি না। আবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিপদে আছেন। আমাদের হাতে মাত্র তিন মাস সময় আছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে সমাধানে যেতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পে করপোরেট করহার পরিবর্তন করা হলে স্থানীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের আস্থার ঘাটতি দেখা দেবে।
বিকেএমই সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সোলার সিস্টেমের ওপর কর মওকুফ প্রয়োজন। সরকার আমাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা সেখানে সরকারের সহযোগী ভূমিকা চাচ্ছি। আমরা সোলার প্যানেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই। এটার ওপর সরকার কোনো কিছু না রেখে, সম্পূর্ণ ফ্রি করা উচিত। তা হলে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন। খরচ কমে আসবে, আমরা শিল্পের লোকজন এটাতে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস করনীতির পরিবর্তন হবে। বর্তমান করনীতি নিয়ে আমি অনেক কথা বলেছি যে কোনোভাবেই এটা বিনিয়োগ বা ব্যবসার জন্য সহায়ক নয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এবার ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করবো। ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে কর সুবিধা নিচ্ছেন। তারা ধারাবাহিকতা চান। কিন্তু আমরা অভিযোগ পাই যে, করহারের চেয়ে ইফেক্টিভ করহারের যোজন যোজন ফারাক। এগুলোকে আমরা যতটা সম্ভব সহজ করবো।
সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস