শরীয়তপুরে বিএনপির ২ পক্ষের পালটা কর্মসূচি ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১৮ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৯
শরীয়তপুর: বিএনপির দুই পক্ষের পালটা কর্মসূচি ঘিরে শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া বাঁধের বিপরীত পাশে পদ্মা নদীতে চর পড়া জায়গায় ১০ কোটি ঘনফুট বালু নিলামে দেয় উপজেলা প্রশাসন। গত ৬ এপ্রিল থেকে ড্রেজার যন্ত্র দিয়ে বালু কাটা শুরু করে ঠিকাদার নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ রয়েল। কিন্তু বিএনপির আরেকটি পক্ষ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি (অব.) কর্নেল এসএম ফয়সাল এই বালু কাটার বিপক্ষে থাকায় এরআগেও তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নড়িয়া উপজেলা চত্তরে ফরিদ আহমেদ রয়েলের নেতৃত্বে বালু কাটার পক্ষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন।
অন্যদিকে, বালু কাটা বন্ধের দাবিতে একই স্থানে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মহি আহম্মেদ জিন্টু, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) এসএম ফয়সাল, কলাবাগান থানা মহিলা দলের সভাপতি শামিমা জাহান সাথীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন।
একই স্থানে বিএনপির দুই পক্ষের পালটা-পালটি কর্মসূচিতে সংঘর্ষ ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মার ভাঙনে নড়িয়ার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়। ভাঙনের কবলে পড়ে হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, এমনকি সড়কও বিলীন হয়। পরে প্রায় ১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘নড়িয়া-জাজিরা পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করে পাউবো। এতে ১০ দশমিক ২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ এবং নদীতে ৮০ কোটি টাকার জিওব্যাগ ফেলা হয়।
নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ রয়েল বলেন, ‘আমি বৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের কাজ পেয়েছি এবং কাজ শুরু করেছি। তবে একটি কুচক্রীমহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করছে। আমরা বৈধভাবে বালু উত্তোলনের পক্ষে ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, নড়িয়া পৌরসায় রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি আছে। এ জন্য পৌরসভায় বিএনপির দুটি পক্ষই তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করেনি। সকাল থেকেই পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন আছে।
সারাবাংলা/এনজে