পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে ভারতীয় ফ্লাইট, বেড়েছে ব্যয়
২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:০৪ | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৪৩
পাকিস্তান বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) হঠাৎ করেই ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়ার পর আন্তর্জাতিক রুটে ভারতীয় বিমান চলাচলে বড় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানের আকাশপথ ভারতীয় মালিকানাধীন ও ভারতীয় পরিচালিত সকল এয়ারলাইন্সের জন্য বন্ধ থাকবে।’
এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারত থেকে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইটগুলোকে বিকল্প ও দীর্ঘ রুট নিতে হচ্ছে, যার ফলে উড়ান সময় বেড়ে যাচ্ছে এবং এয়ারলাইন্সগুলোকে বহন করতে হচ্ছে বাড়তি ব্যয়।
এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো জানিয়েছে, পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ থাকায় তাদের কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনঃনির্ধারণ করতে হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘উত্তর আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের রুটে আমাদের কিছু ফ্লাইটকে বিকল্প দীর্ঘ রুট নিতে হচ্ছে। যাত্রীদের যেকোনো অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লি থেকে ইউরোপ বা আমেরিকাগামী ফ্লাইটগুলো এখন ৯০ থেকে ১২০ মিনিট বেশি সময় নিচ্ছে। জেট এয়ারওয়েজের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন পি. পি. সিং জানিয়েছেন, এতে ওয়াইডবডি বিমানের ক্ষেত্রে প্রতি ফ্লাইটে অতিরিক্ত খরচ পড়ছে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ডলার, যা ন্যারোবডি বিমানে অর্ধেক হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই খরচে রিফুয়েলিংয়ের প্রয়োজন বা অতিরিক্ত পণ্য বহনের সীমাবদ্ধতা থেকে আসা রাজস্ব ক্ষতি ধরা হয়নি।’
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য কিছুটা সুবিধা হলো, তারা এখনো রাশিয়ার আকাশপথ ব্যবহার করতে পারছে যা ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার জন্য বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এয়ার ইন্ডিয়া তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই প্রথম পাকিস্তান ভারতের জন্য আকাশপথ বন্ধ করেনি। ২০১৯ সালেও দুই দেশ পরস্পরের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছিল, যার ফলে ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোর ৫৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল বলে সংসদে জানানো হয়েছিল। একই ধরনের ঘটনা ২০০০ সালের দিকেও ঘটেছিল, যা দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনার একটি পরিচিত দৃষ্টান্ত।
সারাবাংলা/এনজে