টানা ছুটিতে সমুদ্র নগরীতে পর্যটকদের ঢল: নিরাপত্তা জোরদার
৩ মে ২০২৫ ১১:২০ | আপডেট: ৩ মে ২০২৫ ১৬:৪৪
কক্সবাজার: মে দিবসের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে সৈকত নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। এতে মুখরিত হয়েছে উঠেছে সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের বিনোদন কেন্দ্রগুলো।
হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শনিবার (৩ মে) টানা ছুটির তৃতীয় দিনে সাড়ে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে। আর কাঙ্খিত সংখ্যক পর্যটক আসায় খুশি সাগরপাড়ের পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনের সংশিষ্টরা।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট; যেখানে ঢল নেমেছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ভ্রমন পিপাসুদের। সৈকতের বিস্তৃত বালিয়াড়ির যেদিকে চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। সৈকতের এ দৃশ্য সবকটি পয়েন্টে। শুক্রবার অন্তত ৭০ থেকে ৮০ হাজার পর্যটক সমাগম ঘটেছে কক্সবাজারে।
আর ঘুরতে পর্যটকদের কেউ ঘোড়ায়, কেউ বিচবাইকে; আবার কেউ কেউ জেটস্কিতে চড়ে আনন্দে মেতেছেন। অনেকে বিস্তৃত বালিয়াড়িতে ঘুরতে সাগরে অপার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ কেউ মোবাইল ও ক্যামেরায় ছবি তুলে স্মৃতি ধারণ করছেন। তবে ভ্যাপসা গরমে অধিকাংশ পর্যটক স্বস্তি খোঁজতে ব্যস্ত সাগরের লোনাজলে গোসলে নেমে। অনেকে সৈকতের কিটকটে বসে পরশ উপভোগ করছেন সাগরে হিমেল হাওয়ার।
তবে ঘুরতে আসা পর্যটকরা নিরাপত্তাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি জানালেও হোটেল কক্ষ এবং খাবারের অতিরিক্ত দাম আদায় নিয়ে অনেকে অভিযোগ তুলেছেন।
এদিকে টানা ছুটিতে কাঙ্খিত সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটায় খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, টানা ছুটির প্রথমদিন এ দ্বিতীয় দিনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটেছে। তবে আজ থেকে পর্যটকের উপস্থিতি কমতে শুরু করবে।
কক্সবাজার হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী জানান, এক শ্রেণীর হোটেল-মোটেলে পর্যটক সমাগমকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত কক্ষ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। নয়ত পর্যটন নগরীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে।
বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে সৈকতে দায়িত্বরত কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার চক্রবর্তী জানান, বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি অন্যান আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। জোরদার রয়েছে টহল। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোনো পর্যটক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি ঝর্ণা, ইনানী ও পাটুয়ারটেকের পাথুরে সৈকত, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দির এবং শহরের বার্মিজ মার্কেটসহ কক্সবাজারের বিনোদন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
সারাবাংলা/ইআ