Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চলমান অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের সমাধান কোথায়?

গাজী তারেক আজিজ
২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১০

বিভিন্ন দাবিতে নগরীর রাস্তা অবরোধ গত কমাসে যেন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ছবি: হাবিবুর রহমান

বাংলাদেশ স্মরণকালের সবচেয়ে অস্থিরতা আর নৈরাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বোধ করি। অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র পরিচালনা যেমন ঝক্কি-ঝামেলার তেমনি লাগাতার দাবী-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন আর অবরোধ। সেই সাথে জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনে দেশের অনেক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে যেখানে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানে একেক সময় একেক দিন একেক সংগঠন একেক রকমভাবে রাজপথ দখলে রেখেছে এই যখন পরিস্থিতি। তখন আর রিক্সাওয়ালা তথা অটোরিক্সাওয়ালারা বাদ পড়ে গেলে তো হয় না। তাই রাজপথে অবরোধ করে রীতিমতো দাবী আদায় করেই ছাড়ল! কখনও শিক্ষক, কখনও আনসার, কখনও সনাতনী, কখনও ছাত্ররা কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবীতে আবার কখনও কলেজের আধিপত্য অটুট রাখতে যেয়ে বিবাদ বিসম্বাদ লেগে এক কলেজের ছাত্ররা যখন আরেক কলেজের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায় বীরদর্পে হেঁটে। তখন ভুক্তভোগী কলেজের ছাত্রদের মনোবল নিয়ে ভাবতে হলে আরেকটু রক্ষণশীল চিন্তার অধিকারী হতে হবে! তা না হলে কেন কোন পদক্ষেপ নেয়া হলো না?

বিজ্ঞাপন

এমনিতেই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়াদের থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হয়ে ৩ জন রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে অন্যরা কেন পাবে না? এই যখন সর্বত্র প্রশ্ন করে উত্তর খুঁজে হয়রান। যখন দাবী ওঠে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কি দোষ করল? আর তখনই দাবী ওঠে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হলো না? আবার কেউ কেউ বলছেন এটা এনজিও সরকার। আসলে মানুষ এতটাই স্বাধীনতা ভোগ করছে যে, মুখে যা আসছে তা-ই বলছে। যেন আটকানোর কেউ নেই। অন্যরা তো নয়ই, নিজে নিজেও কেন চিন্তা করতে ভুলে গেছে আর কয়েকদিন পর আমরা কি করব? কি বলব?

বিজ্ঞাপন

বিখ্যাত লেখক জর্জ অরওয়েল কি তাহলে ভবিষ্যৎ জেনে-বুঝেই প্রাণীদের নামে মানুষের আচরণই ফুটিয়ে তুলেছেন তার ‘এনিমেল ফার্ম’ নামের রম্যগদ্যের বইটিতে? মানুষও তাতে বুঁদ হলেন। যে বই সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে। খুঁজে ফেরেন কারা বন্য আর কারা সভ্য? স্মার্ট এআইয়ের যুগে এসে যখন মানুষ হরদম বন্য আচরণ করে চলেছে তখন বুঝতে হবে আমরা কারও না কারও হাতের পুতুল হয়েই নেচে চলেছি। কি অদ্ভুত না! আমরা কতই না দাম্ভিকতা নিয়ে বলে বেড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ নিয়েছি। অথচ একজন নিরক্ষর লোকের সাথেও কি চিন্তার ফারাক আছে? যদি তা-ই হবে, রিক্সাওয়ালার দাবী জীবিকার তাগিদ বলেই তারা আন্দোলনের পথ বেছে নিয়ে আইন অমান্য করে শুধুই পেটের ক্ষুধা নিবারণের লক্ষ্যে। আর সরকার একটা বিহিত করবে বলে আশ্বস্ত করে তাদের শান্ত করতে পেরেছে। তারাও নিরুপায়। তাদের একেকজনের পরিবারে ছয় থেকে আট জন বা তারও বেশি সদস্য। সবার মুখে খাদ্যের জোগান দেওয়া এই দুর্মূল্যের বাজারে একজনের আয়ে প্রায় অসম্ভব। আবার তাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল খাদ্য খেয়ে সুস্থ থাকা না গেলে ঠিক পরদিনই না খেয়ে দিনাতিপাত করা ছাড়াও গত্যন্তর নেই। এই অবস্থায় তাদের জন্য মোটরচালিত রিক্সার বিকল্প আর কি হতে পারে? যেখানে প্যাডেল চালিত রিক্সায় অর্ধবেলায় হাঁপিয়ে ওঠে। সেখানে মোটরচালিত রিক্সাকে আরও কতটুকু নিরাপদ করে তোলা যায় সেটাও ভেবে দেখতে হবে। কারণ সংখ্যার হিসেবে কমপক্ষে ৭০লক্ষ রিক্সার কথা উঠে এসেছে। যা আরও বেশি হতে পারে বলেও ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

এই পরিস্থিতির মধ্যে কখনও ঢাকা কলেজ লেগে যায় সিটি কলেজের সাথে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তো রয়েছেই। সেই লেগে যাওয়াও নিছক মামুলি নয়। দিনভর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। সাথে জনসাধারণের ভোগান্তি। পথচারীদের নিরাপত্তাহীনতা। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ছিল সীমাহীন উদ্বেগ উৎকন্ঠা। সে যাত্রায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চূড়ান্ত রকমের একশনে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কর্তৃপক্ষ কলেজ বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হন।

ছিলো ঢাকা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ অধিভুক্ত সাত কলেজের স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবী। যে দাবী উপেক্ষা করার মতো যথেষ্ট কারণ থাকা স্বত্তেও তারা ছিল অনড়। শেষমেশ তিতুমীর কলেজের আন্দোলন ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয় যখন ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অবরোধ করা হয়। আমরা দেখেছি চালক অনবরত হর্ণ বাজিয়ে যখন অবরোধস্থল অতিক্রম করছে তীব্রগতিতে তখন আন্দোলনকারী কলেজ ছাত্রদের মধ্যে থেকে পাথর নিক্ষেপ করে চলন্ত ট্রেনের যাত্রীরা যখন রক্তাক্ত হয় তখন জবাব দেওয়ার মতো কি থাকে? তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও উপদেষ্টা পরিষদ থেকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় রাতারাতি কোন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে গেলে যে কাঠামো ও জনবল দরকার পড়ে তার সক্ষমতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাস্তবতার নিরিখে বলে দেওয়া যায় সরকার অধিভুক্ত কলেজগুলোকে নিয়ে আলাদা কোন বিশ্ববিদ্যালয় হয়তো করতে চায় না। যেটা করতে চায় সেটা হলো অধিভুক্ত কলেজগুলোকে আলাদা একটা বিশ্ববিদ্যালয় করে তাদেরকে সেখান থেকে সার্টিফিকেট দিতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়তো আর কলেজগুলোর অস্তিত্ব না-ও থাকতে পারে। সেটাও খুব শীঘ্রই যে হচ্ছে না তা অনুমেয়। আপাতত সেই আন্দোলন স্থগিত।

এবার আসা যাক, কেন ন্যাশনাল হাসপাতালে ছাত্রদের হামলা? কেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও নজরুল কলেজ মিলে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে এই তান্ডবের নেপথ্যের কারণ কি? নাকি এর পেছনেও কোন চক্র কাজ করছে? তবে হালকাভাবে উড়িয়ে দেওয়ার কোন কারণ নেই। প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি উস্কে দিয়ে ব্যাপকভাবে তান্ডবলীলা চালানোর পিছনে অভিযোগ রয়েছে এক কলেজের শিক্ষার্থী কর্তৃক অন্য কলেজের শিক্ষার্থীদের মারধর। আদতে যদি তা হয়েও থাকে তার কি কোন আইনানুগ প্রতিকার সম্ভব ছিল না? কেন এই তান্ডব চালাতে হবে? যেখানে ন্যাশনাল হাসপাতাল নিরাপদ নয়। যেখানে কলেজের মতো বিদ্যাপীঠকে টার্গেট করে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে তাদের কাছে আর জাতি কী প্রত্যাশা করতে পারে? তারা শিক্ষিত হয়ে কর্মস্থলে কি করবেন? আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে তাদের ভবিষ্যৎ কেমন হতে চলেছে অনুমান করতে খুব বেগ পোহাতে হয় না।

মোল্লা কলেজে যে তান্ডব দেখেছি। যে লুটপাট দেখেছি। সেই অবস্থা সাম্প্রতিক কেবল গণভবন আর সংসদ ভবনেই হয়েছে। তবে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সারাদেশে যে লুটতরাজ অগ্নিসংযোগ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তার তুলনায় কম কি কিছু? এখন তো স্বৈরাচারী ব্যবস্থা নেই! তাহলে এখনও কেন থামানো যাচ্ছে না লুটপাট? অতিশীঘ্রই বন্ধ হোক প্রত্যাশা করি। তার আগে মোল্লা কলেজের অনুমান ৭০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়তো পোষানো যাবে। কিন্তু বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট, মূল্যবান ডকুমেন্টস তছনছ করায় সেই ক্ষত পুষিয়ে ওঠা যে খুব সহজ হবে না। সেটা কর্মক্ষেত্রে গেলেই এই সকল শিক্ষার্থী হয়তো বুঝতে পারবে। তা-ই বলে মোল্লা কলেজের ছাত্রদের ভালো বলার অবকাশ নেই। তারাও নজরুল কলেজ কিংবা সোহরাওয়ার্দী কলেজে যা করেছে তার ক্ষত পোষানো যাবে না। হয়তো সেই আর্থিক ক্ষতি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

তবে সংঘর্ষের দিন ঠাসা ছিল গুজবে। কেউ প্রচার করেছে ওই কলেজের এত জন মারা গেছে। সাথে সাথে অপর কলেজের শিক্ষার্থীর ওপর হামলা শুরু। যদিও দিন শেষে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরীক্ষা স্থগিত করেছেন। ইতোমধ্যে যার যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। তাতেও কি শিক্ষার্থীদের কোনরূপ বোধদয় হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে একটা প্রচলিত প্রবাদ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলি ‘যার হয় না নয়ে, তার হয় না নব্বইয়ে’।

এক্ষেত্রেও পুলিশ যেন বাণিজ্য না করে বসে সে দিকটাতে জোরালো নজর দিতে হবে। কারণ পুলিশের অতীত রেকর্ড থেকে বলা যেতে পারে বাণিজ্য করতে যেয়ে পুলিশ নিরীহ কোন ব্যক্তিকে যেন হয়রানির শিকার না হয়। আবার কারওয়ান বাজার এলাকা বেশ গরম প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার পত্রিকা দুটিকে মেজবান পার্টির আক্রমণ থেকে বাঁচাতে। অভিযোগ এই দুটি পত্রিকা ভারতের ‘পারপাস সার্ভ’ করার। এই অভিযোগে গরুর গায়ে ‘মতি গরু’ লিখে জবাই করেছে প্রথম আলো পত্রিকা অফিসের সামনে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছেন গণমাধ্যমের ওপর হামলা হলে কঠোর পদক্ষেপ নিবে সরকার। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে মনে হচ্ছে।

আবার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগকে প্রাধান্য দিয়ে উপদেষ্টাদের সিংহভাগ এই বিভাগ থেকে নেয়া হয়েছে। এখন দাবী উঠতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গ থেকে উপদেষ্টা নেয়া না হলে উত্তরবঙ্গ বিচ্ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দেওয়া রয়েছে। যদিও সরকার সেই দাবীও আমলে নেয়নি। তাতে কি দাঁড়ায় একটা রাজনৈতিক সরকারের যেমন অঞ্চলভেদে পছন্দ অপছন্দ অথবা কাজের সুবিধার্থে মন্ত্রী নিয়োগের প্রচলন রয়েছে এই অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরও একই চাপ দেওয়াতে সরকারের কাজের গতি কিছুটা হলেও শ্লথ হয়। এতে কোনও সন্দেহ নেই।

এবার কথা শোনা যাচ্ছে অভ্যুত্থানের নেতারা একটা রাজনৈতিক দল গঠনের পথে হাঁটছে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যতদিন পরিবারতন্ত্র বহাল থাকছে ততদিন আর যা-ই হোক নতুন যে কোন দলের জন্য রাজনীতির মাঠ এতটা সহজ হবে বলেও মনে হচ্ছে না। কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন তথ্যা গণঅভ্যুত্থান তথা জুলাই বিপ্লবের ফসল সরকার পতন। এরই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা অবস্থান নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রকাশ্য ও গোপন নীলনকশার ফল যখন ফলতে শুরু করার অপেক্ষায় ছিল এই মুহূর্তের সবচেয়ে বৃহৎ দল বিএনপি। ঠিক তখনই আকস্মিক রাজনৈতিক দলের ঘোষণা এবং প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং জেলা উপজেলা পর্যায়ে নাগরিক কমিটি গঠনে কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে বিএনপিকে। কিন্তু নাগরিক কমিটি তথা বিপ্লবের নায়কদের জন্য কি রাজনীতির মাঠ এতটা সহজ হবে? এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। যদিও ফ্রন্ট লাইনে থেকে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সাথে নেপথ্যের কুশীলবদের বুদ্ধি পরামর্শ আর্থিক সহযোগিতা। এখন কি সেটায় একটু হলেও ভাটা পড়বে না? তাহলে বিএনপি যে এতদিন চিন্তা করে রেখেছিল নির্বাচন অনুষ্ঠান যত দ্রুত হবে ততই সরকার গঠনের দ্বারপ্রান্তে। সেটায় কি ছেদ পড়লো না কিছুটা হলেও?

ছাত্ররা ইতোমধ্যে বিএনপিকে পাশে চেয়েছে সকল কাজে। বিএনপি সমর্থনও দিয়েছিল। এবং বলে এসেছে বিএনপি ছাত্রদের বিরুদ্ধে নয়। জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে। আর করে বলেই জুলাই বিপ্লবের শহীদদের নামে সড়ক ও স্থাপনার নামকরণের ঘোষণা দিলেও ছাত্রদের মন ভরাতে পেয়েছে? সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় তাদের টার্গেট ভিন্ন। আর আপামর জনতার দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সেনাকুঞ্জে বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাথে শ্রদ্ধাবনত কুশল বিনিময়। আর মানুষ বুঝতে শুরু করল এবং বলতে লাগল ছাত্র এবং ছাত্রদের প্রতিনিধি ৩ জন উপদেষ্টা বিনয়ের কথা।

আমরা অপেক্ষায় আছি ছাত্রদের তৈরি দল নিয়ে কতটুকু বিচক্ষণতা দেখিয়ে কতটুকু পথ পাড়ি দিতে পারে। নাকি একই ঘূর্ণাবর্তে ঘুরপাক খায়। বাংলাদেশের মানুষ কতটুকু প্রস্তুত আরেকটি নতুন দল এবং জাতীয় নেতৃত্ব গ্রহণ করতে। ছাত্রদের দল মাঠে আসলে কার লাভ কার ক্ষতি এই বিবেচনার চেয়েও বেশিমাত্রায় বিবেচ্য বিষয় হবে কতটুকু মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। আমরা আমাদের অতীত থেকে যা দেখেছি তা হচ্ছে যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ। অথবা যেই লাউ সেই কদু! যদিও দপ্তরবিহীন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিজের ফেসবুকে গৃহযুদ্ধের কথা বলছেন। সে গৃহযুদ্ধ কে কার বিরুদ্ধে করবে তার কোন ব্যাখ্যা নেই। ইঙ্গিতবহ এই কথাটিও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।

লেখক: আইনজীবী, কলামিস্ট

সারাবাংলা/এসবিডিই

চলমান অস্থিরতা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর