Wednesday 30 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদ নাটকে কমছে সিনিয়র পরিচালকদের উপস্থিতি


২৮ আগস্ট ২০১৯ ১৫:৫৯ | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০১৯ ১৬:০৪

সারাবছর টেলিভিশন নাটকের মান নিয়ে বোদ্ধা মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলতেই থাকে। এসব আরও বেগ পায় যখন ঈদ উৎসব আসে। তখন বোদ্ধাদের সঙ্গে কতিপয় সাধারণ দর্শকও মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সদ্য অতিবাহিত হওয়া ঈদের নাটক নিয়েও আলোচনা–সমালোচনার কমতি নেই।

তবে এবার নাটকের মান নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার পাশাপাশি আরেকটি বিষয় হয়ে উঠেছে মাথা ব্যথার বড় কারণ। আর সেটি হলো ঈদ আয়োজনে জ্যেষ্ঠ পরিচালকদের অনুপস্থিতি বা কম নির্মাণ। ঈদুল আজহায় পাঁচ শ’র বেশি নাটক টেলিশিন ও অনলাইন মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। সেসব নাটকের অধিকাংশ নির্মাতাই তরুণ। শুধু গেলো ঈদুল আজহা নয়,  রোজার ঈদেও টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে ছিল তরুণ পরিচালকদের নির্মিত নাটকের আধিক্য।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন :  আইয়ুব বাচ্চুকে শ্রদ্ধা জানালেন ওপার বাংলা শিল্পীরা


ধীরে ধীরে এরকম দূরে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে তৃতীয় পক্ষ তথা এজেন্সিগুলোকে দুষলেন কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নির্মাতা। তাদের মধ্যে অন্যতম নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, ‘আজকের তরুণরাই আগামী দিনের প্রবীণ। সময়ের সঙ্গে তরুণদের আগমন ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে যেসব তরুণ নির্মাতারা আসছেন তারা মেধাবী কিনা সেটা বিবেচনা করতে হবে। অনেক তরুণ নির্মাতা আছেন, যারা জনপ্রিয় কিন্তু মেধাবী না। সিনিয়র অনেক পরিচালকও আছেন, এমন। এখন তরুণ নির্মাতারা হিট নাটক বানাচ্ছেন বলে তাদের দিয়ে বেশি নাটক নির্মাণ করানো হচ্ছে। আজকাল তো ইউটিউবে বিভিন্ন কায়দায় নাটক হিট বানানো যায়। এছাড়া, চ্যানেলে চাঙ্ক কিনে নেয়া এজিন্সিগুলো অনেক অমেধাবী নির্মাতাদের সুযোগ করে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি এজেন্সি চ্যানেলের নির্দিষ্ট সময়ের চাঙ্ক কিনে নেয়। সেখানে তারা ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বিভিন্ন স্পন্সর খোঁজে। চাঙ্ক যেহেতু তাদের নিজেদের সেহেতু তারা তাদের ইচ্ছামতো নাটক নির্মাণ করে ব্র্যান্ডিং করে প্রচার করে। অনেক অমেধাবী পরিচালককে কম বাজেট দিয়ে নাটক বানিয়ে দিতে বলে। সেই অমেধাবীরাও অল্প বাজেটে নাটক বানিয়ে দিচ্ছেন। ফলে এভাবে ধীরে ধীরে অমেধাবী নির্মাতার সংখ্যা বেড়ে চলছে।’

বিজ্ঞাপন

দোদুল জানান, একজন সিনিয়র মেধাবী নির্মাতা কিন্তু টাকার কাছে বিক্রি হতে চান না। তিনি ভালো কাজ করতে চান। কিন্তু বাজেট বেশি লাগায় এজেন্সি সিনিয়রদের থেকে তরুণদের প্রাধান্য দেয়। এর ফলে ঈদে ধীরে ধীরে সিনিয়র নির্মাতাদের নাটকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

এদিকে নির্মাতা শিহাব শাহীন এজেন্সিগুলোকে সরাসরি না দুষলেও পরোক্ষভাবে দায়ী করলেন। শিহাব শাহীন বলেন, ‘দিনকে দিন নাটকের বাজেট কমে আসছে। একজন সিনিয়র নির্মাতা নির্মাণের ক্ষেত্রে যদি দশ লাখ টাকা বাজেট চান, সেখানে তরুণ একজন নির্মাতা এসে বলেন; ছয় লাখ টাকায় কাজ করে দিতে পারব। ফলে কাজটি সিনিয়র থেকে জুনিয়রের কাছে চলে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই যে অল্প বাজেটে একজন তরুণ নির্মাতা নাটক বানাচ্ছেন, এতে করে দুর্নামটাই বেশি হচ্ছে। এই দুর্নামের কারণে, এখন নাটকও মানুষ দেখছে না। সমালোচনাও হচ্ছে। আজকাল নাটকে অশ্লীলতা ঢুকে গেছে। অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়। এমন চলতে থাকলে পরিবার নিয়েও নাটক দেখা যাবে না। বাংলা সিনেমার মতো অবস্থা হবে।’

শিহাব শাহীন মনে করেন, চ্যানেলগুলোর এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। বদলাতে হবে অতি মুনাফালোভী দৃষ্টিভঙ্গি। সেইসঙ্গে বাজেট বাড়িয়ে মেধাবী সিনিয়র নির্মাতাদের সুযোগ দিতে হবে।


আরও পড়ুন :

.   প্রথম ক্রাশের নাম বলতে গিয়ে লজ্জায় লাল কারিনা

.   এলআরবি’র ভোকাল মিজান, স্বপন ছাড়া পুরনো কেউ নেই নতুন লাইনআপে


ঈদ নাটক টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর