একের পর এক ড্র আর হারে রিয়াল মাদ্রিদের অবস্থান ছিল তলানির দিকে। কোচ জাবি আলোনসোর চাকরি নিয়েও টানাটানি। শোনা যাচ্ছিল, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচটা আলোনসোর শেষ পরীক্ষা। কিন্তু শেষ পরীক্ষায় চরমভাবে ব্যর্থ আলোনসো। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এগিয়ে গিয়েও ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আলোনসোর চেয়ারের খুঁটি বুঝি আরও নড়ে গেল তাতে!
ম্যাচে ২-১ গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের তিনটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোল করেছেন রদ্রিগো। এ নিয়ে ৩২ ম্যাচ পর গোল পলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গোল দুটি করেছেন নিকো ও’রেইলি ও আর্লিং হালান্ড।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে গেল ম্যানসিটি। ৬ ম্যাচের চারটিতে জিতে পেপ গার্দিওলার দলের পয়েন্ট ১৩। অপর দিকে ৬ ম্যাচ খেলে দ্বিতীয়বার হারা রিয়াল মাদ্রিদ ১২ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে টেবিলের সপ্তম স্থানে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মাঠের লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি পায় রিয়াল। পরে অবশ্য ভিএআরে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। ভিএআরে দেখা যায় ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ফাউলের শিকার হয়েছিলেন ডি-বক্সের বাহিরে। ফলে পেনাল্টির বদলে ফ্রি-কিক পায় মাদ্রিদ। ফ্রি-কিকে অল্পের জন্য গোল পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ।
২৮ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। ডান পাশ থেকে দৌড়ে বল ভিনিসিয়ুসের দিকে না বাড়িয়ে গোলে শট নেন রদ্রিগো। সিটি গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়। লিড অবশ্য বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। ৩৪ মিনিট কর্নার আদায় করে রিয়াল। তাতে ফিরতি বলে শট নিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন নিকো ও’রেইলি।
৩৯ মিনিটে ব্যবধান ২-১ করে ম্যানসিটি। হালান্ডকে বক্সে ফাউল করেন আন্তনিও রুদিগার। ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। পোনল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন হালান্ড।
এরপর সমতায় ফেরানোর চেষ্টা করে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সিটিও গোলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করেছিল একাধিকবার। কিন্তু কোন দলই গোল আদায় করতে পারেনি। সিটির সামনে বড় বাঁধা ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। আর রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলাররা লক্ষ্যে শট রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন বারবার।
৫০ মিনিটে রদ্রিদোর বল ধরে গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন জুড বেলিংহাম। কিন্তু ইংলিশ মিডফিল্ডারের শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৬২ মিনিটে দারুণ সেভে রিয়ালকে বাঁচান কোর্তেুায়া। ডকুর শট ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক পরে ফিরতি বলে আবার শট নিলে সেটিও ঠেকিয়ে দেন তিনি।
৮০ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বল নাগালে পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু তার ভলি গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৮৫ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা এন্দ্রিকের শট ক্রসবারে লাগে। যোগ করা সময়ে সিটির রক্ষণে বারবার আক্রমণ করেছে রিয়াল। কিন্তু কাঙ্খিত গোল আদায় করতে পারেনি।