Monday 02 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিসিবির সবুজ সংকেত পাচ্ছেন না মাশরাফিরা!


৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:০০ | আপডেট: ৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:১২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে বিশ্বকাপ মহাযজ্ঞের আগে মাত্র ৬ দিনের জন্য মাশরাফিদের বিশ্রাম দেয়া হবে কী না তা নিয়ে এখানো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। আদৌ তাদের বিশ্রাম দেয়া হবে কী না সেটি নিয়েও আছে শঙ্কা।

মে মাসের শুরুতে আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করে বিশ্বকাপ মিশনে নামার আগে দেশে ফেরার অভিপ্রায় জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বেশ কয়েকজন সদস্য। এর পেছনে কারণ একটিই; প্রিয় পরিবারকে দূরে রেখে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপের জন্য তাদের আড়াই মাসের বেশি সময় ইউরোপে অবস্থান করতে হবে। কিন্তু যাদের হোম সিকনেস বা গৃহ কাতরতা আছে, মানে সপ্তাহ না পেরুতেই যাদের পরিবারের জন্য ব্যকুলতা বেড়ে যায়, তাদের জন্য কাজটি আদতেই কঠিন।

বিজ্ঞাপন

তাই বিশ্বমঞ্চে শতভাগ মনোনিবেশ করতে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে পরিবারের সঙ্গে দিন কয়েক সময় কাটানোকেই বিশ্বমঞ্চে দারুণ কিছু করার টনিক হিসেবে বিবেচনা করছেন স্টিভ রোডসের বেশ কয়েকজন শিষ্য।

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। এতো অল্প সময় পরিবারের সঙ্গে কাটানোর চেয়ে ইংল্যান্ডে অবস্থান করে ফিটনেস নিয়ে কাজ করাকেই বেশি যুক্তিযুক্ত মনে করছে লাল সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি।

সারাবাংলার সঙ্গে একান্তে আলাপকালে সেকথাই জানালেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তার ভাষ্যমতে, ‘এটা আলোচনা হয়েছে কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তাছাড়া বাস্তবিক অর্থেই এটা কতটুকু সম্ভব তারও বিষয় আছে। কারণ তারা ছুটিটা চেয়েছে ৫-৬ দিনের জন্য। আসতে যেতে তিন দিন আর দেশে তিন দিন থেকে হোম সিকনেস কাটানোর চেয়ে ওখানে থেকে নিজেদের ফিটনেসের দিকে নজর দেয়াটাই আমার মনে হয় জরুরি। কতটুকু বাস্তবিক চিন্তা ভাবনা করে তারা এটা বলছে বোঝার বিষয়। বোর্ড কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি।’

আগামী মাসেই ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বসতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বাদশ আসর। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে অংশ নেবে বাংলাদেশ দল। ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপের জন্য ১ মে দেশ ছাড়বে টাইগাররা। ৭ মে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মোকাবেলা করবে মাশরাফি ও তার দল।

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৭ মে। পরদিনই দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন আগ্রহী ক্রিকেটাররা। তাতে করে আবার ২৩ মে বিমানে চড়তে হতো সবাইকে। কেননা ২৬ মে থেকে কার্ডিফে প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে।

দুই আসরের জন্য দিনের হিসেবে অন্তত ৭২ থেকে ৭৪ দিন গ্রেট বিটেনে অবস্থান করতে হবে মাশরাফি, সাকিবদের। যা হতে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম লম্বা সফর।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

** নির্বাচকদের বিশ্বকাপ ভাবনায় নেই তাসকিন

ত্রিদেশীয় সিরিজ বিশ্বকাপ বিসিবি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর