সুযোগটা কাজে লাগাতে চান আর্জেন্টাইন উঠতি তারকা
২১ আগস্ট ২০১৯ ১৬:২২
আগামী মাসে চিলি আর মেক্সিকোর বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। দলে চমক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন ২০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আদোলফো গাইচ। কোপা আমেরিকায় রেফারি-আয়োজকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য, দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে ছাড়াই তাই দল ঘোষণা করতে হয়েছে কোচ লিওনেল স্কালোনিকে।
এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত আর্জেন্টিনা দলে রাখা হয়নি ম্যানচেস্টার সিটির তারকা স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরোকে। জায়গা হয়নি পিএসজির তারকা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার। দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা সাত তরুণ খেলোয়াড়।
চিলি আর মেক্সিকোর বিপক্ষে দুই ম্যাচে তো বটেই মেসিকে পাওয়া যাবে না জার্মানির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও। আগামী ৫ ও ১০ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে চিলি ও মেক্সিকোর সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা।
মেসি-আগুয়েরো-ডি মারিয়াহীন স্কোয়াডে তাই আর্জেন্টিনার ভরসা জুভেন্টাসের পাওলো দিবালা এবং ইন্টার মিলানের লাউতারো মার্টিনেজ। এছাড়া, ২৭ সদস্যের দলে আক্রমণভাগে আছেন ল্যাজিওর জোয়াকুইন কোরেয়া আর সান লরেঞ্জের আদোলফো গাইচ। অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়ে নজরে এসেছেন তরুণ স্ট্রাইকার গাইচ। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়া গাইচ চলতি বছর প্যান আমেরিকান গেমসে আর্জেন্টিনা যুবদলের হয়ে সোনা জিতেছেন। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ৬ গোল করেছেন সম্ভাবনাময় এই সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড। এছাড়া গত বছর অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপেও দারুণ পারফর্ম করেন গাইচ।
সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চান গাইচ। জানালেন, আমি টিভি দেখছিলাম। এমন সময় একটা ফোন কল পাই। সেটি ছিল জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কালোনির। আমি তাকে চিনি, কিন্তু ভাবতে পারিনি তিনি সুখবরটা আমাকে দেবেন। কুশল বিনিময়ের পর তিনিই প্রথম আমাকে জানালেন আমি স্কোয়াডে আছি। আমি সঙ্গে সঙ্গেই তার ফোন নম্বরটা যোগ করি। কারণ আমি কখনো তাকে আমার ফোন নম্বরটা দেইনি। বেশ অবাক হয়েছি তার ফোন পেয়ে। আমি জানি এটা আমার স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ। সুযোগটাকে আমি পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাই।
সান লরেঞ্জের এই উঠতি তারকা আরও যোগ করেন, এটা আমার জীবনের বড় পাওয়া যে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছি। দেশের প্রতিটি ফুটবলার স্বপ্ন দেখে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার। এটা আমার জন্য বড় অর্জন, বড় পুরস্কার। একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে অভিষেকটা মনে রাখার মতো খেলব। সুযোগটা কাজে লাগানোর পাশাপাশি জাতীয় দলের জার্সিতে খেলাটা উপভোগ করতে চাই।
২৭ সদস্যের আর্জেন্টিনা স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট), এস্তেবান আনদ্রাদা (বোকা জুনিয়র্স), অগাস্টিন মারচেসিন (এফসি পোর্তো)
রক্ষণভাগ: নিকোলাস ওটামেন্ডি (ম্যানচেস্টার সিটি), মার্কোস রোহো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), লুকাস মার্টিনেজ (রিভার প্লেট), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (আয়াক্স), লিওনার্দো বালের্দি (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), জার্মান পেজ্জালা (ফিওরেন্টিনা), গঞ্জালো মন্তিয়েল (রিভার প্লেট), নিকোলাস ফিগাল (ইন্ডিপেন্দিয়েন্তে)
মাঝমাঠ: মার্কোস আকুনিয়া (স্পোর্টিং লিসবন), জিওভান্নি লে সেলসো (টটেনহাম হটস্পার), গিদো রদ্রিগেজ (ক্লাব আমেরিকা), ম্যানুয়েল লানজিনি (ওয়েস্ট হ্যাম), লিয়ান্দ্রো পারেদেস (পিএসজি), নিকোলাস ডমিঙ্গুয়েজ (ভেলেজ সার্সফেল্ড), রদ্রিগো দি পল (উদিনেসে), লুকাস ওকাম্পোস (সেভিয়া), এজিকুয়েল প্যালাসিওস (রিভার প্লেট), মাতিয়াস জারাচো (রেসিং), রবার্তো পেরেইরা (ওয়াটফোর্ড), অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (বোকা জুনিয়র্স)
আক্রমণভাগ: পাওলো দিবালা (জুভেন্টাস), লাউতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান), আদোলফো গাইচ (সান লরেঞ্জো), জোয়াকুইন কোরেয়া (ল্যাজিও)।
** আগামী বছরেই অবসরে যেতে পারেন রোনালদো!