নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ নেই সাকিবের
২৯ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৩৩
২০১৮ সাল থেকে মোট তিনবার ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) না জানানোর অপরাধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। তবে অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় ও তদন্তে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কমিশনকে (আকসু) সম্পূর্ণ সহযোগিতা করায় তার সাজা এক বছর কমিয়েও দেওয়া হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সাকিব আল হাসান কোনো আপিল করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আইসিসি। সে অনুযায়ী আজ থেকেই কার্যকর হয়েছে তার নিষেধাজ্ঞা। ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর তার নিষেধাজ্ঞার একবছর পূর্ণ হবে। পরদিন, অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকেই ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেটে টাইগারদের অধিনায়ক।
আইসিসি’র নিষেধাজ্ঞায় আরও বলা হয়েছে, অনুচ্ছেদ ৭.২ অনুযায়ী আইসিসি’র এই ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা মওকুফের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাকিব আল হাসান কিংবা আইসিসি’র কেউই আবেদন করতে পারবেন না।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে নিশ্চিতভাবেই আসন্ন ভারত সফর মিস করতে যাচ্ছেন দুই ফরম্যাটের টাইগার দলপতি। ভারত সফরে তার নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দলের যাওয়ার কথা ছিল। এই সফরের পরের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএলও মিস করবেন সাকিব। আগামী বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও মিস করবেন তিনি।
তিন তিনবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও তা আইসিসিকে অবহিত না করায় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার খাড়া নামে সাকিবের ওপর। তবে এ তথ্য প্রকাশ পেয়ে গেলে সাকিব আকসু’র তদন্তে পূর্ণ সহায়তা করেন। এছাড়া ওইসব তথ্য না জানানো যে অপরাধ ছিল, সেটিও তিনি স্বীকার করে নেন। সে কারণেই সাকিবের সাজা কমে গেছে একবছর।