রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ বাঁচাল পাকিস্তান
২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০:৪৮
বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচটা শেষ পর্যায়ে ইংল্যান্ডের দিকেই হেলে ছিল। শেষ দুই ওভারে স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। হাতে চার উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা প্রায় দুইশ স্ট্রাইকরেটে ফিফটি তুলে নেওয়া মঈন আলী তখনও ক্রিজে। দারুণ বোলিংয়ে সেখান থেকে পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়েছেন দলে ফেরা অভিজ্ঞ পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ১৯তম ওভারে আক্রমণে এসে মাত্র তিন রান খরচ করে ভয়ঙ্কর মঈন আলী ও ক্রিস জর্ডানকে ফেরান ওয়াহাব। শেষ পর্যন্ত ৫ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ১-১ ব্যবধানের সমতায় শেষ হলো। প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচটা জিতেছিল ইয়ান মর্গানের ইংল্যান্ড। ম্যানচেস্টারে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৯০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল পাকিস্তান। কালও ব্যাট হেসেছে মোহাম্মদ হাফিজের।
শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি সফরকারীদের। দ্বিতীয় ওভারেই ফখর জামানের উইকেট হারায় পাকিস্তান। বেশিদূর এগুতে পারেননি বাবার আজমও, তিন চারে ২১ রান করে ফিরেছেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। তবে এরপর উইকেটে এসে প্রতিআক্রমণে ইংলিশদের তছনছ করেছেন হাফিজ। তাকে ভালো সঙ্গ দিতে পেরেছেন ১৯ বছর বয়সী অভিষিক্ত হায়দার আলি। তৃতীয় উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়ার পথে অভিষেকে প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নিয়েছেন হায়দার।
৩৩ বলে ৫ চার ২ ছয়ে ৫৪ রান করে ফিরেছেন তরুণ তারকা। হাফিজ ৫২ বলে করেছেন ৮৬ রান। ৩৯ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ইনিংসে চার মেরেছেন ৪টি, ছক্কা ৬টি। শেষ দিকে শাদাব খান, ইমাদ ওয়াসিমরা রান তোলার গতি ঠিক রাখতে না পারলেও পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ১৯০/৪।
জবাব দিতে নেমে ২৬ রানে জনি বেয়ারস্টো ও ডাভিড মালানকে হারিয়ে শুরুতেই বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। বেশিদূর এগুতে পারেননি অধিনায়ক ইয়ান মর্গানও (১০)। তবে এরপর ফর্মে থাকা টম ব্যান্টনকে নিয়ে দারুণভাবে ঘুড়ে দাঁড়ান অফফর্মে থাকা মঈন। ব্যান্টন ৩১ বলে ৮ চারে ৪৬ রান করে ফিরলেও পাকিস্তানের গলার কাঁটা হয়ে ছিলেন মঈন। স্যাম বিলিংস (২৬), লুইস গ্রেগরিরা (১২) ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন মঈনকে। তবে ওয়াহাব রিয়াজের ওই এক ওভারেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তুলতে পেরেছে স্বাগতিকরা।
পাকিস্তানের পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ ২৬ রানে ও শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৮ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে মোহাম্মদ হাফিজের হাতে।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজ পাকিস্তান ক্রিকেট