যেসব কারণে বাফুফে সাধারণ সম্পাদককে নিষিদ্ধ করল ফিফা
১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৪৮
আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা)। পাশাপাশি সোহাগকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক অর্থাৎ প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানাও করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিফা ফান্ডের বিষয়ে মিথ্যা ও ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দেওয়ায় সব ধরনের ফুটবল থেকে দুই বছরের জন্য সোহাগকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানা করা হচ্ছে।’ এর আগে আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণে সোহাগকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল ফিফা। এবার এলো নিষেধাজ্ঞা। ফিফার ইনডিপেন্ডেন্ট এথিক্স কমিটি এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সোহাগের বিরুদ্ধে মোটাদাগে চারটি ধারায় অভিযোগ প্রমাণের কথা বলেছে ফিফা। সেগুলো হলো- ২০২০ সালের ফিফা এথিকস কোডের ধারা ১৫ (সাধারণ কর্তব্য), ১৩ (আনুগত্যের দায়িত্ব), ২৪ (জালিয়াতি ও মিথ্যাচার) এবং ২৮ (অযথার্থতা ও অনুদানের অপব্যবহার)। চার ধারার অধীনে ফিফা মোট ৩০৬টি পয়েন্টে সোহাগের অপরাধের বর্ণনা দিয়েছে।
ফিফার ইন্ডিপেন্ডেন্ট এথিক্স কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু নাঈম সোহাগ মিথ্যা নথি এবং বক্তব্য দিয়েছেন। যেখানে জাতীয় ফুটবল দলের জন্য ক্রীড়া সরঞ্জাম ক্রয়ে ৩০ হাজার ২৭ মার্কিন ডলার (২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪০ টাকা ) ব্যয়ের তথ্য দিয়েছেন তিনি। এছাড়া চারশ ফুটবল ক্রয়বাবদ ১২ লাখ টাকা এবং বিমানের টিকিট ক্রয়বাবদ ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩০০ ব্যয় হয়েছে। ফিফাকে দেওয়া আর্থিক হিসাবে মার্কিন ডলারের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে সেটিও চলতি সময়ের সঙ্গে মিল নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এসব বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হলে সেই তদন্তেও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন- এমন অভিযোগ সোহাগের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ফিফার কাছে দেওয়া সোহাগের ব্যাখ্যা আইনি বিধি অনুসারে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয় এবং সেসব অভিযোগ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন সোহাগ। কিন্তু তার আবেদন কানে তোলেনি ফিফা।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সোহাগ চাইলে ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) তার শাস্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। ২১ দিনের মধ্যে এ আপিল করতে পারবেন তিনি।
সারাবাংলা/এসএইচএস