Monday 09 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবি, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি, রমনা ঘুরে দেখার ইচ্ছা ছিল: ঊষসী রায়


৪ জুলাই ২০১৯ ১৬:২৬ | আপডেট: ৪ জুলাই ২০১৯ ২০:৫৭
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হলুদ শাড়ি, শাখা, সিঁদুর পরে এভাবেই ক্যামেরার সামনে ধরা দেন ঊষসী রায়। ছবি: আশীষ সেনগুপ্ত

ঝটিকা সফরে কলকাতা থেকে উড়াল দিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন ঊষসী রায়। নাম শুনে এপার বাংলার মানুষের চেনার কথা না। কারণ তিনি এপার বাংলার মানুষের কাছে ‘বকুল’ নামে বেশি পরিচিত। ভারতীয় চ্যানেল জি বাংলায় প্রচারিত ‘বকুল কথা’ ধারাবাহিকের কেন্দ্রিয় চরিত্রের অভিনেত্রী। ডাকাবুকো চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দুই বাংলার দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন।

ঊষসী বাংলাদেশে এসেছিলেন ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ জিফাইভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। শাড়ী, শাখা, সিঁদুর পরা ঊষসী ‘বকুল কথা’ ধারাবাহিকের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে কথা হয় তার সাথে। কথায় কথায় তিনি দুই বাংলার টেলিভিশন ধারাবাহিক, পছন্দের অভিনয়শল্পীসহ নানা বিষয়ে মনের আগল খোলেন। 

বিজ্ঞাপন

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ভ্রমণ কেমন হলো?
খুব অল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। যার কারণে বাংলাদেশ ঘুরে দেখতে পারিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি, রমনা—এসব জায়গা ঘুরে দেখার ইচ্ছা ছিল। আমি যেখানে ছিলাম তার আশেপাশেই জায়গাগুলো ছিল। কিন্তু এত ট্রাফিক যে দেখতে পারিনি। সেজন্য দুঃখ রয়ে গেল। আগামীবার গেলে না দেখে ফিরব না।

সংবাদ সম্মেলনে দেখলাম শাড়ি, শাখা, সিঁদুর পরে এসেছেন…
জি নেটওয়ার্কের হয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম আমি। আর জি বাংলায় চলছে আমার ‘বকুল কথা’ সিরিয়াল। তাই বলতে পারেন আমি ‘বকুল কথা’র প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছিলাম। সেজন্য ওমন সাজ ছিল।

বকুল কথা তো বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে বাংলাদেশে আমার সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা সত্যিই অনেক আনন্দ দেয়। ওখানে না গেলে এসব বোঝা যাবে না। তবে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে অনেক মেসেজ পাই। অনেকেই ভালোলাগার কথা জানান। আমি বাংলাদেশে গিয়ে তার প্রমাণও পেয়েছি। ওখানকার অনেকে আমার কাছে এসে তাদের ভালোলাগার কথা জানিয়েছেন। একজন অভিনেত্রী হিসেবে এটা আমাকে ভিন্নরকম আনন্দ দেয়।

ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশে প্রচারের কারণেই আপনি এখানে জনপ্রিয়। সেই সুযোগটা কিন্তু বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পীরা পাচ্ছেন না। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি চ্যানেল প্রচার না হওয়ার কারণে তারা অচেনা রয়ে যাচ্ছেন। আপনার কী মনে হয় না ওখানে বাংলাদেশি চ্যানেল প্রচার হোক?
বাংলাদেশি চ্যানেল পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায় না ঠিকই। কিন্তু আমি ছোটবেলায় আমার পরিবারের লোক বা চেনা লোক বাংলাদেশি নাটকের সিডি, ডিভিডি কিনে দেখতে দেখেছি। আর এখন তো কোনোকিছু অসম্ভব নয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খুঁজে খুঁজে বাংলাদেশের নাটক দেখে। তবে এটা ঠিক, যদি বাংলাদেশি চ্যানেল প্রচার হতো তাহলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আরও বেশি করে বাংলাদেশের শিল্পীদের চিনত।  আমার মনে হয় বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেল পশ্চিমবঙ্গে প্রচার করা উচিত।


আরও পড়ুন :  আব্বাসদের জন্য বিনামূল্যে ‘আব্বাস’


‘জিফাইভ’—এর হয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। আপনার কি মনে হয় এই প্ল্যাটফর্মটি দুই বাংলার শিল্পীদের মেলবন্ধন তৈরি করতে পারবে?
দুই বাংলার শিল্পীদের মধ্যে এমনিতেই তো মেলবন্ধন তৈরি হয়ে আছে। জিফাইভে বাংলাদেশি নানা অনুষ্ঠান, ওয়েব সিরিজ দেখা যাবে। সুতরাং এর মাধ্যমে ওই মেলবন্ধনটি আরও মজবুত হবে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দুইবাংলার শিল্পীরা মিলেমিশে কাজ করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

বাংলাদেশের নাটক দেখা হয়?
সত্যি কথা বলতে আমি সেরকম বাংলাদেশি নাটক দেখিনি। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কয়েকটি নাটক দেখেছি। তাও অনেক আগে। আসলে ব্যস্ততার কারণে দেখা হয়ে ওঠেনা।

বাংলাদেশি কোনো পছন্দের অভিনয়শিল্পী আছে?
জয়া আহসানকে খুব ভালো লাগে। তিনি বাংলাদেশে যেমন জনপ্রিয়, পশ্চিমবঙ্গেও তেমন জনপ্রিয়। জয়া আহসানের অভিনয় আমার মন ছুঁয়ে যায়।

বাংলাদেশ থেকে উপহার পাওয়া প্যাকেটের ভেতর কী কী ছিল?
একটিতে ছিল কাঠের আয়না, অন্যটিতে ছিল কাঠের হারিকেন। খুব সুন্দর দেখতে। ওগুলো বাড়িতে সাজালে দেখতে ভালো লাগবে।

সারাবাংলা/আরএসও/পিএ/পিএম


আরও পড়ুন :

.   কবির সিংয়ের ডাবল সেঞ্চুরি নট আউট

.   সালমানের ফিটনেস, ৩০০ জিম ও ক্যাটরিনা


ঊষসী রায় জি বাংলা টপ নিউজ বকুল কথা