সিলেট: সিলেটের গোলাপগঞ্জে টিলা ধসে বসতভিটায় স্বামী-স্ত্রী ও শিশুসহ একই পরিবারের চারজন মাটি চাপায় পড়ে থাকা মরদেহ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও পুলিশ। তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
রোববার (১ জুন) সকাল ৭টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত চারজন হলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ারঘাট এলাকার রিয়াজ উদ্দিন (৫০), তার স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৪), সামিয়া খাতুন (১৫), আব্বাস উদ্দিন (১৩)।
বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বখতিয়ার এলাকার আমাদের ইউপি মেম্বারের বাড়ি পাশের একটি টিলা ধসে চারজন মাটির নিচে আটকা পড়েন। আমি স্থানীয় লোকজন নিয়ে উদ্ধার শুরু করেছিলাম। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা আগানো সম্ভব হয়নি। ঘরের পেছনের অংশ দিয়ে আমরা তিনজনের মাথা বের করেছিলাম; কিন্তু মাটি পড়ে আবার সেগুলো তলিয়ে যায়।’
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্লা সারাবাংলাকে বলেন, ‘টিলা ধসে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ বলেন, ‘টিলা ধসে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। সকাল ৭টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের টিম, সেনাবাহিনী, পুলিশসহ ও স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গোলাপগঞ্জের বখতিয়ারঘাট এলাকায় ভারি বৃষ্টির কারণে হঠাৎ টিলা ধসে পড়ে। টিলার পাদদেশে অবস্থিত রিয়াজ উদ্দিনের ঘরের ওপর মাটি ধসে পড়লে ঘরের ভেতরে থাকা রিয়াজ উদ্দিনসহ চারজন মাটিচাপা পড়েন। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা মাটি সরানোর চেষ্টা করেন, তবে তারা ব্যর্থ হন। এরপর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলেও ঘটনার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সেখানে পৌঁছায় এবং উদ্ধার কাজ শুরু করে।
উল্লেখ্য, গতবছরের (২০২৪) সালের জুন মাসে সিলেটের চামেলিবাগে ভারী বৃষ্টিতে টিলা ধসে বসতভিটায় একই পরিবারের তিন জন মারা যায়।
আরও পড়ুন:
