অনশন করে বেতন বাড়ানো যাবে না : গণশিক্ষামন্ত্রী
২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:৩৮
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আমরণ অনশন করে বেতন বৃদ্ধি করা যাবে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
রোববার দুপুরে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজের ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা যে আমরণ অনশন শুরু করেছেন সে ব্যপারে তারা আমাকে কিছুই বলেননি। চুড়ান্ত কর্মসূচিতে যাওয়া আগে তারা আমাকে বলতে পারত। কেনো বলেননি, তা আমি জানি না, হয়তো তাদের কোনো সীমাবদ্ধতা ছিল।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশন করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। শনিবার সকাল ১০টায় ‘বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের’ উদ্যাগে এই অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। এতে মহাজোটের অধীনে থাকা ১০টি সংগঠনের শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন।
বেতন বৈষম্য কমানোর জন্য ২০১৪ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষকরা। বর্তমানে তাদের বেতন গ্রেড ১৪ তম রয়েছে। তারা ১১ তম গ্রেডে উন্নীতর জন্য আজকের এ আমরণ অনশন। প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।
অনশনকারী শিক্ষকরা জানান, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ।
এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এই বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।
সারাবাংলা/একে