ঢাকা: টিউশনি করতে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য জুবায়েদ হোসেনকে ছুরিঘাতে হত্যার ঘটনায় ছাত্রী বর্ষাকে আটক করেছেন পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১ টা ২০ মিনিটের বর্ষাকে তার নিজ বাসা রাজধানীর বংশালে নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া বাড়ির বাকি সদস্যদেরও কড়া নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ।
এদিকে ছাত্রী বর্ষার মোবাইলের মেসেঞ্জার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, বর্ষা নিহত জুবায়েদের বন্ধুকে মেসেঞ্জারে বলছেন যে জুবায়েদকে কারা যেন বাসার নিচে মেরে রেখে গেছে। সেখানে জুবায়েদের বন্ধুকে তুমি সম্বোধন করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, টিউশনি করতে যাওয়ার পথে খুন হওয়া জুবায়েদের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে বংশালের নূরবক্স রোডের মাথা এলাকায় কালো টি-শার্ট ও কালো ব্যাগ পিঠে দুই যুবক দৌড়ে বংশাল রোডের দিকে যাচ্ছেন। ধারণা, এরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে আরও ৭ জনকে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রেখেছে। আমরা বাড়ির সবাইকে আটকের কথা বলেছি। আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। কাল আমরা আরও খবর জানতে পারব।’
তিনি আরোও বলেন, ‘যে কোন মূল্যে হোক আমরা আমাদের শিক্ষার্থী খুনের বিচার নিশ্চিত করব। লালবাগ থানার ডিসি বিষয়টি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আইনের ওপর ভরসা রাখছি।’
ডিএমপি পুলিশের লালবাগ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী জানিয়েছেন, ‘জুবায়েদ আহমেদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা, তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’