রংপুর: শেখ হাসিনার রায় ঘিরে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচি মোকাবেলায় রংপুর মহানগরীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে নগরীর ৩৭টি প্রবেশমুখে তল্লাশি, টহল ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়েছে। এই ব্যবস্থা আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের নগরী হিসেবে সতর্কতা আরও জোরদার। বিএনপি, জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলো মাঠে নেমে নাশকতা প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) তোফায়েল আহমেদ জানান, নগরির পার্কের মোড় শহিদ আবু সাঈদ চত্বর, টাউন হলের সামনে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ, মর্ডান মোড়, দমদমা, মাহিগঞ্জ, সাতমাথা, সাহেবগঞ্জ, সিগারেট কোম্পানি, দখিগঞ্জ, আমতলী, বুড়িরহাট, হাজিরহাট, সিও বাজার, মেডিকেল মোড়, দর্শনা, নজীরের হাট, লাহিরির হাট, টার্মিনাল, বড় বাড়ি, বিনোদপুরসহ ৩৭টি পয়েন্টের প্রবেশমুখে চেকপোস্টে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, কার সন্দেহ হলেই থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন আছে। মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী নিজে পয়েন্টগুলো ঘুরে দেখছেন। এর আগে রাতে শহীদ চত্বরে তল্লাশি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।
উপ-কমিশনার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এটা আতঙ্ক বা হয়রানির জন্য নয়, নগরবাসীকে সাহস দিতে। নাশকতার চেষ্টা হলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কমিশনার মজিদ আলী বলেন, ‘ছোট-বড় ৩৭ প্রবেশমুখে টহল জোরদার করা হয়েছে। অলিগলিতে সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্বে আছে। কোনো আশঙ্কা নেই।’
জেলা পুলিশ সুপার আবু সায়েম বলেন, ‘৮ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নাশকতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিভাগের ৮ জেলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। কোনো আতঙ্কের কারণ নেই।’
এদিকে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, এনসিপি, জাতীয় ছাত্র শক্তি, গণ অধিকার পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ দলগুলো ভোর থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। নাশকতাকারীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের কার্যক্রম প্রতিরোধ করবে এনসিপি।’
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মপরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল বলেন, ‘নেতা-কর্মীরা সতর্ক, নাশকতা রুখব।’
আর গণ অধিকারের হানিফ খান সজীব বলেন, ‘আমরা ভোর থেকে মাঠে আছি, আইন হাতে না নিয়ে পুলিশকে সহায়তা করবো।’