৭ হাজার কোটি টাকার পাটপণ্যের বাজার তৈরির প্রত্যাশা পাটমন্ত্রীর
৩ মার্চ ২০১৯ ১৪:০৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: পাটের বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিতে বহুমুখী পাটপণ্যের আরও বেশি প্রসার ঘটাতে হবে বলে মনে করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেন, এজন্য দেশীয় উদ্যোক্তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা হলে তারা আরও নতুন নতুন পাটপণ্য তৈরিতে উদ্বুদ্ধ হবেন।
রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর মনিপুরিপাড়ার জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘ঠিকভাবে কাজ করলে ৭০০ কোটি কেন, আমার তো মনে হয়-আন্তর্জাতিকভাবে সাত হাজার কোটি টাকার বহুমুখী পাটপণ্যের বাজার তৈরি হবে।’
মতবিনিময় সভায় পাটমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন প্লাস্টিককে বর্জন করছে। ধীরে ধীরে পাটের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। জেডেপিসির উপর আমার আস্থা আছে। বাণিজ্যমেলায় জেডেপিসির স্টলে গিয়ে বুঝেছি এরাই পারবে। পাট দিয়ে এখন সব রকমের পণ্য তৈরি হচ্ছে। পাটের বাজার ধরতে হলে বহুমুখী পাটপণ্য লাগবে।’
প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বর্জন করে পাটপণ্যের দিকে যেতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য ব্যবহার করলেই পরিবেশ ঠিক থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা ছোট ছোট মেলা করে তাদের জায়গা দিতে হবে। যদি পাটপণ্য প্রদর্শনের জন্য স্থায়ীভাবে জায়গা দেওয়া যায় তাহলে মানুষ বুঝবে এখানে বহুমুখী পাটপণ্য পাওয়া যায়। এতে ক্রেতা বা সাধারণ মানুষও বহুমুখী পাটপণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। বাণিজ্যমেলায় গিয়ে আমি নিজের পরিবারের জন্যও বহুমুখী পাটপণ্য কিনেছি। এতো সব পণ্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। অন্যরাও এভাবে মুগ্ধ হবে। আগ্রহী হবে। আর এভাবে অভ্যন্তরীণ বাজার বাড়বে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘পাটপণ্য ভ্যাটমুক্ত রয়েছে। ভবিষ্যতেও যাতে ভ্যাটমুক্ত থাকে সে লক্ষ্যে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজানুর রহমান, বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তা ও জেডেপিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা মতবিনিময়ে অংশ নেন।
জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক রীনা পারভীন বলেন, ‘বর্তমানে বহুমুখী পাটপণ্যের স্থানীয় বাজার ১০০ কোটি টাকা। দেশের বাইরে বহুমুখী পাটপণ্যের ৭০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে। খাতটিতে বর্তমানে উদ্যোক্তার সংখ্যা ৭০০। আর আমরা এখন ২৮০ ধরণের পাটপণ্য তৈরি করছি। পাট থেকে এখন কাগজও তৈরি হচ্ছে। ভিজিটিং কার্ড ও ডায়রি তৈরিতে পাটের কাগজ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।’
মতবিনিময় সভা শেষে মন্ত্রী জেডেপিসি সেন্টারে অবস্থিত বহুমুখী পাটপণ্যের বিক্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। পাটের প্রতি তার ভালোবাসার কথাও তুলে ধরেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসএমএন