জুবায়ের হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি বহাল
২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:২৩
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির ফাঁসি বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় জনের মধ্যে চার জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল থাকা আসামিরা হলেন, প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রইছ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম। এদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম রাজু ছাড়া বাকি ৪ জন পলাতক।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ থেকে খালাশ পাওয়া আসামিরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র শফিউল আলম সেতু, অভিনন্দন কুণ্ডু অভি, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, ইতিহাস বিভাগের মাজহারুল ইসলাম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ বহাল থাকা আসামিরা হলেন ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ ও মো. নাজমুস সাকিব তপু। আসামিদের মধ্যে অরূপ পলাতক, বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রানা কাউসার।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে রাশেদুল ইসলাম রাজু আপিল করেছিলেন। বাকিরা পলাতক। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির মধ্যে অরূপ পলাতক। বাকি পাঁচজন আপিল করে। সেই আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় হয়। আজ আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় জনের মধ্যে চার জনকে খালাস দিয়েছেন।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায়ে পাঁচ আসামিকে ফাঁসি ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দেওয়া হয়। আসামিরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র জুবায়ের। ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের দুই গ্রপের সংঘর্ষের তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলা করেন।
২০১২ সালের ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে ঢাকার হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ। এরপর এ মামলার বিচার শুরু হয়।
সারাবাংলা/এজেডকে/এনএস