ঈদযাত্রার ১২ দিনে ২৪৭ জনের মৃত্যু
১২ জুন ২০১৯ ১৫:৪৪
ঢাকা: এবারের ঈদুল ফিতরে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ২১২ টি দুর্ঘটনায় ২৪৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শুধু সড়কেই মারা গেছেন ২২১ জন। এসব সড়কে দুর্ঘটনায় মোট আহতের সংখ্যা ৬৫২ জন। যাদের মধ্যে পঙ্গু হয়েছেন ৩৭৫ জন।
বুধবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, বিভিন্ন হাসপাতাল ও গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত মোট ১২ দিনে এই চিত্র দেখতে পান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১২ দিনে সড়ক ও মহাসড়কে ১৮৫ টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২২১ জনের। এতে আহত হয়েছে আরও ২৪৭ জন। এছাড়া নৌপথে পাঁচটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের ও আহত হয়েছে আরও ১২ জন। এদিকে, একই সময়ে রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে জানান, এসব দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিল ৬৩ টি বাস,৩৮ টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ১৯ টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস, ৩০ টি নছিমন-করিমন, ভটভটি, ইজিবাইক ও অটোরিকশা, ৬৪ টি মোটরসাইকেল ও ২৬ টি অন্যান্য যানবাহন।
ঈদের ৩ দিনে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শুধু পঙ্গুতেই ৩৭৫ জন
এরমধ্যে ৫১ টি গাড়িচাপায়, ৮১ টি সংঘর্ষে, ১৯ টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ও অন্যান্য কারণে ৩৪ টি দুর্ঘটনা ঘটে।
এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ঈদকেন্দ্রিক অতিরিক্ত যাত্রী চাপ, চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, অদক্ষ চালকের কাছে দৈনিক চুক্তিতে যানবাহন ভাড়া দেওয়ার বিষয়গুলোকেই দায়ি করছে সংগঠনটি। এছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়িতে যাত্রী বহন, মহাসড়কে ধীর গতির যান যেমন নসিমন করিমন ও অটোরিক্সা চলাচল, ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতাও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
৫ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮৯০ জনের মৃত্যু, আহত ৩৫৪৩
এ সময় দুর্ঘটনা রোধ ও কমাতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানানো হয়। বিশেষ করে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেওয়া ও সড়ক বাঁক সোজা করার সুপারিশ জানান তারা। এছাড়া মহাসড়কে ধীর গতির যানবাহন বন্ধে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের যথাযথ বাস্তবায়ন ও ঈদযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার স্টাফবাসগুলোকে ব্যবহারের পরামর্শও দেন তারা।
সারাবাংলা/ওএম/জেডএফ