খালেদের অস্ত্র-মাদক মামলার তদন্তে ডিবি’র সঙ্গে র্যাব
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:১১
ঢাকা: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র্যাব) যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলার তদন্ত করবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাবের একটি সূত্র সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। র্যাবের ওই সূত্রটি জানায়, এখন থেকে র্যাবও খালেদের মামলা তদন্ত করবে। বুধবার মামলার তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র হাতে পেয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন- ‘আন্ডারওয়ার্ল্ডে দাপট’ খালেদের, পালাতে চেয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে
জানা যায়, মাদক ও অস্ত্রের মামলা তদন্ত করতে র্যাবের পক্ষ থেকে গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দফতরে আবেদন করা হয়। সেখান থেকে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সরকারের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) র্যাবকেও মামলাগুলোর তদন্ত করতে অনুমতি দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, খালেদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক এবং মতিঝিল থানায় করা মাদক মামলার তদন্ত র্যাবকেও দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপকমিশনার মশিউর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, শুধু খালেদের মামলা নয়, পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মামলাগুলোর তদন্তের দায়িত্বও র্যাবের কাছে যেতে পারে। একইসঙ্গে ডিবিও তদন্ত অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন- খালেদের ক্যাসিনোতে প্রতি রাতে লেনদেন হতো কোটি টাকা!
রাজধানীর ফকিরাপুলে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকেই খালেদের গুলশানের বাসা ঘিরে রাখে র্যাব। পরে সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। তার বাসা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করা আরও দুইটি অস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও দুই প্যাকেটে চারশ পিস ইয়াবা জব্দ করে র্যাব।
এদিন বিকেলে খালেদের ইয়ং মেনস ক্যাসিনোতেও অভিযান চালান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ১৪২ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৩১ জনকে একবছর ও বাকি ১১১ জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ক্যাসিনো থেকে জুয়ার প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকা জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার, সিগারেটসহ নেশাজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য জব্দ করা হয় ওই ক্যাসিনো থেকে।
পরদিন বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব। এছাড়া মতিঝিল থানাতেও তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলায় দায়ের করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে অস্ত্র ও মাদক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক মাহমুদা আক্তার ও শাহিনূর রহমান এক মামলায় চার দিন ও আরেক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ক্যাসিনো খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া