ছাড়পত্র পাচ্ছেন না নুর, সিদ্ধান্ত শনিবার
২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:২২
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনের সামনে হামলার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেন না। তার সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই জনও ছাড়পত্র পাচ্ছেন না। মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ভিপি নুরসহ আহতদের তাদের কেবিনে গিয়ে দেখে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
আরও পড়ুন- ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা শাহবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ
তিনি বলেন, ভিপি নুরসহ তার সহযোগীদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আপাতত তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। আগামী শনিবার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাদের দেখবেন। এরপর তারা ছাড়পত্র বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে অবশ্য ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক নিজেই সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, নুর ভালো আছেন। তার এক্সরে করা হয়েছে। রিপোর্ট ভালো এলে তাকে আজই ছেড়ে দেওয়া হবে। এছাড়া নাজমুল ও ফারুককেও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
মামলা দুর্বল করার জন্য পাল্টা মামলা
এদিকে, ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ঢাবি শিক্ষার্থী ডি এম সাব্বির হোসেনের দায়ের করা মামলা মূলত ভিপি নুরের দায়ের করা মামলাকে দুর্বল করার জন্য দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢামেক হাসপাতালের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছে, তা সবাই দেখেছে। সেই হামলায় এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আট জন। এটি (ডি এম সাব্বির হোসেনের দায়ের করা মামলা) একটি মিথ্যা মামলা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। এটি আমাদের দমন করার জন্য ছাত্রলীগের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। আমাদের মামলাকে দুর্বল করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে।
রাশেদ খান আরও বলেন, আমাদের পক্ষে পুলিশ একটি মামলা করেছিল। এরপর আমরা একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম থানায়। গতকালও অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা এখনো সেটি গ্রহণ করেনি।
এদিকে, ডি এম সাব্বিরের দায়ের করা মামলাটি এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল এজাহারটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমানকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আল মামুন, এ এস এম সনেট, ইয়াসির আরাফাত তুর্য, ইমরান সরকার, ইয়াদ আল রিয়াদ, মাহবুব হাসান নিলয়, তৌহিদুল ইসলাম মাহিম। মামলায় আরও অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আল মামুন ও ইয়াসির আরাফাত তুর্যকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার আরেক আসামি মেহেদী হাসান শান্তকে গ্রেফতার করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। তাদের আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
একই ঘটনায় ডাকসু ভিপি নুর নিজেও শাহবাগ থানায় ৩৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসকে এক নম্বর ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে মামলায়।
ছাড়পত্র টপ নিউজ ঢাবিতে হামলা ঢামেক হাসপাতাল ভিপি নুর রাশেদ খান