খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে কয়টা গুলি খেয়েছেন: জয়নুল আবেদীন
১১ জানুয়ারি ২০২০ ১৪:৪০
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করে কেউ গুলি খেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘১/১১ প্রেক্ষাপট ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা সবাই বলছি- আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বেইল (জামিন) হবে না, আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে বের করতে হবে। অথচ আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি নাই। সরকার হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে মামলা ও গ্রেফতার করেছে। আমরা আইনি লড়াইয়ে করে তাদের বের করেছি। আমাদের আইনজীবীরা আদালতেও প্রধান বিচারপতিকে ঘেরাও করে আন্দোলন করেছে। কিন্তু নেতা-কর্মীরা কেউ কি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করে একটি গুলি খেয়েছে? যারা বেশি বক্তব্য দেন, তারা কয়জন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মাঠে নেমেছেন, কারাগারে গিয়েছেন?
এ সময় তিনি আগামী ফেব্রুয়ারিতে আবারও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইভিএম ভোট চুরি করার প্রকল্প ছাড়া কিছুই নয়। কোনো প্রার্থী যদি আসন ছেড়ে দিতে চায় তাহলে ইভিএম তার জন্য কাজ করবে। এটি মানুষের ভোটাধিকার চিরতরে কেড়ে নেওয়ার যন্ত্র।
খসরু আরো বলেন, ‘দেশে এখন নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয় এমন যে, কে কয়টা সিট ছেড়ে দেবে। ঢাকার দুটি সিটি নির্বাচনে একটা দেবে নাকি দুটোই ছেড়ে দেবে, নাকি চট্টগ্রামে ওই যে বাই-ইলেকশন হচ্ছে, ওটা ছেড়ে দিয়ে এ দুটো রেখে দেবে, সেই আলোচনা হচ্ছে। এটার জন্য ইভিএম মোক্ষম অস্ত্র। মধ্য- রাতে ব্যালট বক্স ভর্তি করে যে ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের জনগণসহ সারা বিশ্বের কাছে পরিস্কার। তারা বুঝতে পেরেছে ব্যালট বাক্সে তাদের আর নিয়ন্ত্রণ নাই, কিন্তু ইভিএমে নিয়ন্ত্রণ আছে। তাই তারা এখন ইভিএম নিয়ে এসেছে।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট শেষ হয়ে গেলে রিকাউন্ট করে যাচাইয়ের সুযোগ নেই। বিশ্বের দুইশ দেশের মধ্যে ৫/৬ টা দেশে ইভিএমে নির্বাচন হয়। ওই ৫/৬টা দেশের সরকার ও নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ নয়। তাছাড়া সেখানে প্রিন্টেড রিসিট দেওয়া হয়, যেটা দিয়ে চ্যালেঞ্জ করা যায়। বাংলাদেশে কিন্তু সেই সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনেও ইভিএম নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তারপরও তারা এটা চালু করছে।
জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সালাহউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিএনপির ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) মহিলা দলের সভাপতি রাজিয়া আলিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন সরদার।