করোনা আতঙ্কের মধ্যেই উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বাগেরহাট
২০ মার্চ ২০২০ ১৪:২৫
বাগেরহাট: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও উপনির্বাচন নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বাগেরহাট। জেলার বাগেরহাট-৪ আসনে (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আগামীকাল শনিবার (২১ মার্চ) উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটদান নিশ্চিত করতে পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছেন। এরই মধ্যে নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রগুলোতে।
আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শুক্রবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে নির্বাচনি এলাকার ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সকাল ১০টায় নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যালট পেপার, ভোটবাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণ শুরু করেন।
এর আগে, ১৮ মার্চ মধ্যেরাত থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন ও জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।
বাগেরহাট-৪ আসনে তিন লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ জন, নারী ভোটার এক লাখ ৫৭ হাজার ৭১৯ জন।
রিটার্নিং কর্মকতা মো. ইউনুচ আলী জানান, বাগেরহাট-৪ আসনের এই উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ভোট নির্বিঘ্ন করতে ১২ প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড ও র্যাবের ১০টি টিম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এরই মধ্যে এলাকায় টহল দিতে শুরু করেছেন। নির্বাচনে ২৩ জন নির্বাহী, দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ২১টি ভ্রাম্যমাণ টিম এবং ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালট ব্যাক্স, সিলসহ সব সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট উপহার দিতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পাঁচ জন করে পুলিশ সদস্যসহ ১২ জন আনসার সদস্য থাকবেন। নির্বিঘ্নে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে, গত ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বিএনপি দলীয় প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান ঋণ ও কর খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।