কালো গাউনের বাধ্যবাধকতা থাকছে না হাইকোর্টে
১২ আগস্ট ২০২০ ০০:২৮
ঢাকা: হাইকোর্টে বিচারপতি ও আইনজীবীদের পরনের চিরপরিচিত কালো গাউন পরার বাধ্যবাধকতা থাকছে না। বুধবার (১২ আগস্ট) থেকে তারা এই কালো গাউন না পরেও আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। এর বদলে তারা সাদা রঙের পোশাক পরতে পারবেন।
বুধবার থেকেই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতের কার্যক্রমের পাশাপাশি সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিয়মিত আদালতের কার্যক্রমও শুরু হবে।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণজনিত বর্তমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও আইনজীবীরা শারীরিক উপস্থিতিতে ও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মামলা শুনানির সময় পুরুষরা টার্নড আপ সাদা কলার, সাদা ব্যান্ডসহ সাদা শার্ট ও প্যান্ট এবং নারীরা সাদা শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ পরতে পারবেন।
গত ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় নোটিশে। তাতে আরও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ বিজ্ঞপ্তি বলবৎ থাকবে।
এদিকে, একই সময়ে অন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্ট থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ, নিষেধাজ্ঞা, স্থিতাবস্থা ও স্থগিতাদেশের মেয়াদ পূর্ণাঙ্গরূপে কোর্ট খোলা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে, গত ১৩ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে ছুটি শুরু হয়। এরপর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশের সব আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে ১১ মে থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চে জরুরি মামলার শুনানি শুরু হয়। এরপর চেম্বার আদালতেও বিচার শুরু হয়। ১২ জুলাই থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুরু হয় আপিল বিভাগের কার্যক্রমও। তবে একাধিক ফুলকোর্ট সভাতেও শারীরিক উপস্থিতিতে নিয়মিত আদালত বসানোর সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি বিচারপতিরা।
শেষ পর্যন্ত গত ৩১ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৫ আগস্ট থেকে দেশের সব অধস্তন নিয়মিত আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সে অনুযায়ী ৫ আগস্ট থেকে সশরীরে চলছে নিম্ন আদালতের বিচারকাজ। এর মধ্যে ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিতিতে নিয়মিত আদালতও চলবে।
সোমবার (১০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানির জন্য ৩৫টি বেঞ্চ ও শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে নিয়মিত আদালতে শুনানির জন্য ১৮টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। বুধবার থেকে এসব বেঞ্চে বিচারকাজ শুরু হবে।