Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আগাম ভোট বা ‘মেইল ইন ব্যালটে’ আগ্রহ কেনো মার্কিন ভোটারদের


২ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৩৪

আগামী ৩ নভেম্বর, সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯তম প্রেসিডেন্ড নির্বাচন। বরাবরের মতো এবারের নির্বাচনেও দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টির পক্ষে লড়ছেন যথাক্রমে জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নির্বাচনের আর একদিন বাকি। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৯ কোটিরও বেশি মানুষ আগাম ভোটের মাধ্যমে তাদের রায় জানিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়েছে সাংবাদমাধ্যম সিএনএন।

বিজ্ঞাপন

সহজ ভাষায় ‘ইলেকটোরাল কলেজ’

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনে মোট ১৩ কোটি ৮০ লাখ ভোট পড়েছিল। সে হিসাবে এবছর মোট ভোটারের প্রায় ৬৫ শতাংশ আগে থেকে ডাকযোগে মেইল ইন ব্যালটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে এই আগাম ভোট দেওয়াকে মেইল-ইন ব্যালট ও অ্যাবসেন্টি বা অনুপস্থিত ভোট বলা হয়।

ভোটের দিন কেন্দ্রগুলোর ভিড় এড়াতে এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে এবারের নির্বাচনে মেইল-ইন ব্যালট বা ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগটি বেশি করে কাজে লাগিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা।

প্রশ্ন হলো, ‘মেইল ইন ব্যালট’ কি এবং কিভাবে দেওয়া যায় এই ভোট?

তার আগে জেনে নেওয়া যাক, যে কেউ চাইলেই কী এই পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন? নাকি এর জন্যেও আছে কিছু শর্ত। যে কেউ চাইলেই অবশ্য ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন না। তার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু কারণ দর্শাতে হবে। যেমন-

* কোনো ভোটার যদি নির্বাচনের দিন দেশের বাইরে থাকেন।
* দেশের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা।
* অসুস্থ বা চলাচলে অক্ষম ব্যক্তি।
* নির্বাচনের কাজে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি।
* ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে ভোটকেন্দ্রে যেতে না চাইলে।
* এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতাসম্পন্ন কারাবন্দি নাগরিকরা ডাকযোগে তাদের ভোট দিতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

মেইলের মাধ্যমে বা ডাকযোগে ভোট দেওয়ার জন্য প্রথমে যে কাজটি করতে হয়, তা হচ্ছে ভোটারকে প্রথমে অনলাইনে একটা ফর্ম পূরণ করে ভোটের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।

এরপর মেইল ইন ব্যালট পেপারের জন্য তিনি যে রাজ্যের ভোটার সেই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করতে হয়। সেখানে কারণ দেখাতে হয়, কেনো তিনি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না।

তবে আলাবামা, কেন্টার্কি, লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, সাউথ ক্যারোলাইনা ও টেক্সাসে করোনাভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে মেইল ইন ব্যালট বা ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই।

এরপর নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ব্যালট পেপার পূরণ করতে হয়। ব্যালট পেপার পূরণে কোনো ভুল হলে বা সেখানে ভোটারের কোনো স্বাক্ষর থাকলে সেটা বাতিল বলে গণ্য হয়।

শেষ ধাপের কাজ হিসেবে থাকছে ব্যালট পেপারটি পূরণের পর সেটি নির্ধারিত খামে ভরে নির্দিষ্ট ব্যালট পেপার ড্রপ বক্সে জমা দিতে হয়, অথবা ফেডএক্স বা ইউপিএস কুরিয়ারের মাধ্যমেও ব্যালট পেপার জমা দেওয়া যায়।

ব্যালট পেপারটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাল কি না সেটাও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ট্রাক করতে পারেন ভোটাররা। ব্যালট পেপারটি রিসিভ হওয়ার পর নোটিফিকেশন পৌঁয়ে যায় ভোটারের কাছে।

ইলেকশন ডেমোক্রাট নির্বাচন ভোট মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর