ইতালি যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের জন্য মন্ত্রণালয়ের ৫ নির্দেশনা
১৮ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৩৮
ঢাকা: ইতালি সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে সিজনাল (মৌসুমী) এবং নন সিজনাল (অমৌসুমী) কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। গত ১২ অক্টোবর ইতালি সরকারের ইস্যু করা এ সংক্রান্ত এক ঘোষণার পর বেশ কিছু দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের নাম অনুমোদিত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এতে বাংলাদেশের কর্মীদের ইতালিতে যাওয়া এবং সেখানে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন ঘোষণার আওতায় ইতালি যেতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের প্রলোভিত করতে বিভিন্ন দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দালালদের খপ্পরে পড়ে কেউ যাতে সর্বশান্ত না হয় সেজন্য দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে আছে- ইতালিস্থ নিয়োগকারী-মালিক তার জন্য নির্ধারিত এসপিআইডি ই-মেইল থেকে তিনি যাকে নিয়োগ দিতে চান তার নাম, পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে ইতালির স্থানীয় ডিসি অফিসে অনাপত্তিপত্রের জন্য আবেদন করতে হবে।
নিয়োগকারী-মালিকের আয়সহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে অনাপত্তিপত্র প্রদান করা হলে এ অনাপত্তিপত্র তিনি বাংলাদেশের আবেদনকারীর কাছে পাঠাবেন।
আবেদনকারী ব্যক্তি ওই অনাপত্তি পত্রসহ ইতালি দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
ভিসা নিয়ে ইতালিতে এসে তিনি নিয়োগকারী-মালিকের সঙ্গে সে দেশে ডিসি অফিসে গিয়ে চাকরির চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করবেন।
এ প্রক্রিয়ায় আবেদন দাখিলের সময় সরকার নির্ধারিত রেভিনিউ স্ট্যাম্প বাবদ ১৬ ইউরো ফি পরিশোধ করতে হবে। যারা আবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট হেল্প ডেস্কের সহায়তা নেবেন তাদেরকে হেল্প ডেস্কের সার্ভিস চার্জ বাবদ একটি ফি পরিশোধ করতে হতে পারে, যা ক্ষেত্র বিশেষে ৫০-১০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। আবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে এছাড়া অন্য কোনো খরচ নেই।
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ এর মধ্যে পাওয়া আবেদনসমূহ বাছাই করে প্রত্যেক যোগ্য আবেদনকারীর অনুকূলে আলাদা আলাদা অনাপত্তিপত্র ইস্যু করা হবে। পাওয়ার পর নির্ধারিত ভিসা ফি পরিশোধ করে নিজ নিজ দেশে অবস্থিত ইতালিয়ান দূতাবাসে ভিসার আবেদন জমা করতে হবে।
এই নিয়মের অধিনে ইতালিতে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দালাল বা মধ্যসত্বভোগীদের ভুয়া প্রলোভনে পড়ে কোনো অবৈধ বা অনিয়মতান্ত্রিক আর্থিক লেনদেন না করার বিষয়ে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীগণকে ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।