Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যুক্তরাজ্যের করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে নেই’


২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৩৪

ঢাকা: যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট দেখা গেছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। গবেষকরা বলছেন, বি১.১.৭ লাইনেজ (B.1.1.7 lineage) নামের এই ভ্যারিয়েন্টটি সাধারণ করোনাভাইরাসের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি দ্রুতগতিতে সংক্রমণে সক্ষম। ‍যুক্তরাজ্য ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসে করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলেছে। তবে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি ঠেকাতে এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলোসহ ভারত-কানাডাও। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও প্রয়োজনে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ফ্লাইট স্থগিতের চিন্তা-ভাবনা কিছুটা হলেও করছে বাংলাদেশও।

বিজ্ঞাপন

এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশেও এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলেছে কি না। বিশেষ করে গত মাসে বাংলাদেশ শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) ল্যাবে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণে ‘পি৬৮১আর’ মিউটেশনের যে রূপবদল দেখা গিয়েছিল, সেটিই যুক্তরাজ্যে পাওয়া ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ হতে পারে বলে মত দিয়েছেন কেউ কেউ। তবে বিসিএসআইআরের গবেষকসহ দেশে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স নিয়ে কর্মরত বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশে পাওয়া ‘পি৬৮১আর’ মিউটেশনটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্টে ‘পি৬৮১এইচ’ মিউটেশনের মিল রয়েছে। তবে ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্টে এই মিউটেশনটিও প্রধান নয়। বরং সংক্রমণ সক্ষমতা বেশি হওয়ার পেছনে যে মিউটেশনগুলো দায়ী, সেগুলোর কোনোটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

তাই বলে বাংলাদেশকে নিশ্চিন্ত থাকার সুযোগ আছে— এমনটিও মনে করছেন না গবেষকরা। তারা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট কোনোভাবে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে এসে থাকলেও সেটি শনাক্ত হতে আরও সময় লাগতে পারে। ফলে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতাই বাংলাদেশকে নিতে হবে।

আরও পড়ুন-

বি১.. লাইনেজ ভ্যারিয়েন্টে বিশেষত্ব কী

‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ নাম দেওয়া নতুন ভ্যারিয়েন্টকে গবেষকরা বলছেন করোনাভাইরাসের একটি নতুন বংশানুক্রমিক শাখা (ফাইলোজেনিক ক্লাস্টার)। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত GISAID জিনোম ডাটাবেজে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের ৫৬ হাজার ৪১৪টি ভাইরাস নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স জমা পড়েছে। এই নমুনাগুলোতে ১৪টি অ্যামাইনো এসিড পরিবর্তনকারী এবং তিনটি ডিলিশন মিউটেশন রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই ভ্যারিয়েন্টে করোনার পরিবর্তনগুলোর মধ্যে অন্যতম N501Y মিউটেশন, যেটি করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেইনে ঘটেছে। দেখা গেছে, এই পরিবর্তনটির ফলে ACE2 রিসেপ্টরের সঙ্গে ভাইরাসটির বন্ধন সক্ষমতা বেড়ে যায়। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি হলো, স্পাইক প্রোটিনের ৬০-৭০ পজিশনে ডিলিশন অর্থাৎ মুছে যাওয়া। এর ফলে ভাইরাসটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়ার আরেকটি সুযোগ পায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর কারণেই এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ প্রবণতা অনেক বেশি বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

এর বাইরেও নতুন ভ্যারিয়েন্টটির তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ মিউটেশনটি হচ্ছে P681H, যেটি ঘটেছে ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনের ফিউরিন ক্লিভেজ সাইট নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। এই জায়গাটি মানুষের দেহকোষের সঙ্গে লেগে যাওয়ার পর করোনাভাইরাসকে কোষের ভেতরে প্রবেশ করতে সুবিধা দিয়ে থাকে।

গবেষকরা বলছেন, ১৪টি অ্যামাইনো এসিড পরিবর্তনকারী এবং তিনটি ডিলিশন মিউটেশন থাকলেও মূলত এই তিনটি মিউটেশনই ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্টকে আলাদা একটি ফাইলোজেনিক ক্লাস্টারে পরিণত করেছে। বাকি মিউটেশনের মধ্যে ‘পি৬৮১এইচ’ মিউটেশন দেখা গেছে, গত মাসেই বাংলাদেশের করোনাভাইরাসের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সে পাওয়া ‘পি৬৮১আর’ মিউটেশনের সঙ্গে যার মিল রয়েছে। তবে ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এই মিউটেশনটি নির্ণায়ক নয়।

গবেষকরা বলছেনবি১.. লাইনেজ বাংলাদেশে নেই

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের নমুনায় ‘পি৬৮১আর’ মিউটেশনটি শনাক্ত হয়েছিল বিসিএসআইআর’র জিনোমিক ল্যাবের জিনোম সিকোয়েন্সে। ওই সময় জানানো হয়, এই মিউটেশনটি তখন পর্যন্ত পুরো বিশ্বে সাতটি নমুনায় পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশেই ছিল পাঁচটি। ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্টেও এই মিউটেশনটি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিসিএসআইআর’র প্রকল্প কর্মকর্তা ড. সেলিম খান। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তার সঙ্গে কথা হয় সারাবাংলার।

তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের যে ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে সেটি ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’। এর সঙ্গে বাংলাদেশে যে ভ্যারিয়েন্ট আমরা পেয়েছিলাম, তা পুরোপুরি মিল আছে— বিষয়টি এমন নয়। আমাদের নমুনায় যে ‘পি-৬৮১আর’ মিউটেশন ছিল, সেটির সঙ্গে এই ভ্যারিয়েন্টের একটি মিউটেশনের মিল রয়েছে। এছাড়া আমাদের নমুনায় ১১১৮ স্পাইক প্রোটিনে যে পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল, সেটির সঙ্গেও যুক্তরাজ্যের নতুন স্ট্রেইনের কিছুটা মিল আছে। আমরা পেয়েছিলাম ‘পি৬৮১আর’ মিউটেশন, যুক্তরাজ্যে পাওয়া গেছে ‘পি৬৮১এইচ’ মিউটেশন। আমাদের এখানে যখন এই মিউটেশনটি পাওয়া যায়, তার পরপরই যুক্তরাজ্যে নতুন এই স্ট্রেইন দেখা গেছে। তারপর এই স্ট্রেইনে আরও মিউটেশন ঘটেছে, যেগুলো মিলে ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ স্ট্রেইনটি তৈরি হয়েছে, যা সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে।

ড. সেলিম খান বলেন, যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে আমাদের এখানকার কোনো নমুনায় কোনো মিল আছে কি না, তা নিয়ে কাজ করতে আমাদের আরও সময় লাগবে। তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে— আমাদের দেশে ‘পি৬৮১আর’ মিউটেশন এবং ১১১৮ স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন শনাক্ত হওয়ার পরও কিন্তু সংক্রমণ বাড়েনি। কিন্তু যুক্তরাজ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার পরপরই সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়েছে। অর্থাৎ ‘পি৬৮১এইচ’ মিউটেশনের পরও আরও বেশকিছু মিউটেশন সেখানে হয়েছে যেগুলোর কারণে সেখানে সংক্রমণের হার বেড়েছে। ফলে আমাদের নমুনার ‘পি৬৮১আর’ মিউটেশনের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ‘পি৬৮১এইচ’ মিউটেশনের মিল থাকলেও এই মিউটেশনটি ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’-এর ক্ষেত্রে গৌণ বলেই প্রতীয়মান হয়।

‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্টের করোনাভাইরাসের উপস্থিতি বাংলাদেশেও আছে— কিছু গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফতাব আলী সারাবাংলাকে বলেন, যে কাজ আমরা কেবল শুরু করেছি, সেটি নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কিছু নেই। আতঙ্ক ছড়ায়— না জেনে এমন তথ্য ছড়ানোর প্রয়োজন নেই। এই তথ্য আপনারা কোথা থেকে জেনেছেন, আমি জানি না। আমরা সবসময়ই আপনাদের ডেকে রেজাল্ট জানিয়ে দিই। ফাইনাল রেজাল্ট যখন আমরা ডিসক্লোজ করব, তখন আপনারা জানতে পারবেন।

দেশে করোনাভাইরাসের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স নিয়ে কাজ করছে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ)। প্রতিষ্ঠানটির গবেষক সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম সারাবাংলাকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাসের ৫৩৮টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স এখন পর্যন্ত GISAID-এ জমা হয়েছে। এদের মধ্যে কোনোটিই ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’, অর্থাৎ যুক্তরাজ্যে পাওয়া নতুন ভ্যারিয়েন্টের নয়। আমাদের এখানকার পাঁচটি নমুনায় ‘পি৬৮১আর’ মিউটেশনের সঙ্গে এই ভ্যারিয়েন্টের ‘পি৬৮১এইচ’ মিউটেশনের মিল থাকতে পারে। তবে আমাদের এখানকার নমুনায় স্পাইক প্রোটিনের ৬৮১ নম্বর অ্যামাইনো এসিড প্রোলিন থেকে আরজিনিনে রূপান্তরিত হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়ৈন্টে এই স্পাইক প্রোটিনে প্রোলিন থেকে হয়েছে হিস্টিডিন। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্টে অ্যামাইনো এসিডের আরও ১০টিরও বেশি পরিবর্তন পাওয়া গেছে। ফলে ওই একটি মিউটেশনের মিল থাকলেই ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ বাংলাদেশে আছে— এটি বলার সুযোগ নেই।

জানতে চাইলে এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের এখানে যে মিউটেশন, সেটি যুক্তরাজ্যে পাওয়া মিউটেশন না। তাছাড়া ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্টে যতগুলো মিউটেশন রয়েছে, সেগুলো কিন্তু আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ফলে আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত ওই ভ্যারিয়েন্ট নেই— এটি হলো সোজা কথা। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, জিনোম সিকোয়েন্সের পর GISAID-এ তথ্য সংরক্ষণ করে তবেই সেটি নিয়ে কথা উচিত। কারণ জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্যই বলবে— দুইটি নমুনার মধ্যে মিউটেশনগুলোর মিল রয়েছে কি না। এক্ষেত্রে একটু ধীর স্থির হয়ে সঠিক বার্তাটা মানুষের কাছে পৌঁছানো উচিত।

একটি মিউটেশনে স্পাইক প্রোটিনের অবস্থানগত মিল ছাড়া ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো করোনা নমুনার সঙ্গে আর কোনো মিল নেই বলে জানালেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও চিকিৎসা জীবপ্রযুক্তিবিদ ডা. মো. মারুফুর রহমানও। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, যুক্তরাজ্যের নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্টটি দেশে এসে থাকলে সংক্রমণ নিশ্চিতভাবেই বাড়ত। তবে এটাও ঠিক, ওই ভ্যারিয়েন্ট থাকলেও তা শনাক্ত হতে সময় লাগতে পারে। তারপরও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যেহেতু আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে, ফলে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের করোনা ভ্যারিয়েন্টটি নেই— এটি নিশ্চিতভাবে বলার সুযোগ নেই। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে যা কিছু তথ্য আছে, তার ভিত্তিতে এটি বলা যায়— বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নতুন করোনার ভ্যারিয়েন্টটি এখনো পাওয়া যায়নি।

বি১.. লাইনেজ ভ্যারিয়েন্ট নেই বলে শিথিল থাকার সুযোগ নেই

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত হয়নি— এ বিষয়ে একমত বিজ্ঞানী-গবেষকরা। একইসঙ্গে তারা এ বিষয়েও একমত— এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি না থাকলেও বিন্দুমাত্র শিথিল হওয়ার সুযোগ নেই। বরং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ যা কিছু করা প্রয়োজন, সবই করতে হবে। একইসঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য নিশ্চিত না হয়ে প্রকাশের বিষয়েও সতর্ক থাকার কথা বলেছেন তিনি।

এ বিষয়ে ড. সমীর সাহা বলেন, আমাদের একটু সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার, যেন আমরা মানুষকে সঠিক বার্তা দিতে পারি। তবে যত যাই আমরা বলি না কেন, যে মিউটেশন বা ভ্যারিয়েন্টই আসুক না কেন— আমাদের কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। সবসময় মাস্ক পরে চলতে হবে। কারণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবেই। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. মারুফুর রহমান বলেন, যুক্তরাজ্যের ‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্টটির উপস্থিতি এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে এটি যে নেই, সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। করোনা ছড়াচ্ছে এবং ছড়াবেই. যদি আপনি তাকে না আটকান।

‘বি১.১.৭ লাইনেজ’ ভ্যারিয়েন্ট ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়ে সরকারও ভাবছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা মহড়ায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আমরা অবগত। বিমানবন্দর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আমরা সবাই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এখন যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীদের সাত দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইন করানো হচ্ছে। পর্যবেক্ষণসাপেক্ষে প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হবে।

অধ্যাপক আফতাব আলী করোনাভাইরাস করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কোভিড-১৯ জিনোম সিকোয়েন্স ড. সমীর কুমার সাহা ড. সেলিম খান ডা. মো. মারুফুর রহমান পি৬৮১আর মিউটেশন পি৬৮১এইচ মিউটেশন বি১.১.৭ লাইনেজ বিসিএসআইআর সিএইচআরএফ সৈয়দ মুক্তাদির আলসিয়াম স্বাস্থ্য অধিদফতর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর