পল্লবীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মামুন গ্রেফতার
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:২৭
ঢাকা: রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মফিজুর রহমান মামুনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিং ও ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে মর্মে তথ্য পায় কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টির সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা বিবেচনা করে ছায়া তদন্ত শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ওই সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানের এক পর্যায়ে সোমবার ভোর ৬ টা ৪০ মিনিটে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশে রাস্তা থেকে সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য সন্দেহে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারী আসামি মো. মফিজুর রহমান মামুন বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন,মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ২টিতে সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার মামুন এক সময় মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন। সে ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যায়। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেফতার হয় এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করে। কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ ও সমম্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করে। গ্রেফতারকৃত মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করতো। অপরাধজগতে তার অবস্থানকে সুসংহত করতে সম্প্রতি সে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। পরে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম