বিয়ে-তালাক রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করতে হাইকোর্টে রিট
৪ মার্চ ২০২১ ১৬:৫৬
ঢাকা: বিয়ে-তালাকের রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন তামিমা সুলতানা তাম্মির আগের স্বামী রাকিব হাসানসহ তিন ব্যক্তি ও এক সংগঠন।
রিটে নাগরিকের সম্মান রক্ষা করতে এবং পারিবারিক জীবন বাঁচাতে বিয়ে ও তালাক ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
অন্য রিটকারীরা হলেন- সোহাগ হোসেন, কামরুল হাসান ও এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ভুক্তভোগী রাকিব হাসানসহ তিন ব্যক্তি ও একটি সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারীদের আইনজীবী ইশরাত হাসান সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নাগরিকের সম্মান রক্ষা ও পারিবারিক জীবন বাঁচাতে বিয়ে ও তালাকের রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করতে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে আইন সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব, ধর্ম সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।’
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে বিয়ে ও বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করার নির্দেশনা চেয়ে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ পাঠানো হয়। ক্রিকেটার নাসিরের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির আগের স্বামী রাকিব হাসানসহ তিন ব্যক্তি ও একটি সংগঠনের পক্ষে ইশরাত হাসান এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ পাঠানোর পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বিয়ে ও বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশনের আইনগত বিধান থাকলেও তা ডিজিটাল না করায় অসংখ্য প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিয়ে গোপন রেখে ডিভোর্স না দিয়ে বিয়ে করার ঘটনা অনেক ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে সন্তানের পিতৃ-পরিচয় নিয়েও জটিলতা দেখা যাচ্ছে। বিয়ে সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে অসংখ্য মামলার জন্ম নিচ্ছে। তাই বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল হওয়া দরকার। বিয়ে ও ডিভোর্স ডিজিটালাইজেশন করলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর দিয়ে সার্চ করলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। এতে প্রতারণার হাত থেকে অসংখ্য মানুষ রক্ষা পাবে।
তখন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেছিলেন, ‘বিয়ে ও বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল হওয়া জরুরি। বর–কনের ছবিসহ বিয়ে ও তালাকের রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজড হলে তথ্যের সত্যতা যাচাই করা যাবে।’
নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে বিয়ে ও বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়। নোটিশ দেওয়ার পরও বিয়ে ও বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম