অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় টিআইবি পুরস্কার পেলেন সারাবাংলার সৈকত
২২ জুন ২০২১ ১৩:৪৫ | আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ১৭:৪৯
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কোভিড-১৯ রেসপন্স পুরস্কার পেলেন সারাবাংলার সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সৈকত ভৌমিক। জাতীয় পর্যায়ের প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যম ক্যাটাগারিতে তাকে এই পুরস্কার দিয়েছে টিআইবি। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে নমুনা পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত জেকেজি হেলথকেয়ারকে নিয়ে তার পাঁচ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য তিনি পুরস্কারটি অর্জন করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২০’ ঘোষণা করে টিআইবি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। গত ২২ বছর ধরে টিআইবি এই ‘দুর্নীতি বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার’ দিয়ে আসছে।
বরাবরের মতো এ বছরও স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত ও প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলোর মধ্য থেকে সেরা কয়েকটিকে পুরস্কৃত করেছে টিআইবি। তবে এ বছর কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য উন্মোচন নিয়ে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিবেদনগুলোকে ‘টিআইবি ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড ২০২০ কোভিড-১৯ রেসপন্স’ পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়।
এর মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন সারাবাংলা ডটনেটের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সৈকত ভৌমিক। তার ধারাবাহিক প্রতিবেদনের শিরোনামগুলো ছিল যথাক্রমে ‘করোনা পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রতারণার জাল’, ‘অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ধমক দিয়ে কাজ করাত জেকেজি হেলথকেয়ার’, “সরকারি খরচে বেসরকারি ‘প্রতারণা’ জেকেজি হেলথ কেয়ারের”, “চিকিৎসকরা পেত না পিপিই, জেকেজির জন্য ‘আনলিমিটেড’” এবং ‘সরকারি চাকরি করেও ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজি’র চেয়ারম্যান’।
ধারাবাহিক এই প্রতিবেদনে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে নানা ধরনের অনিয়মে জড়িত জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রতারণার তথ্য উন্মোচন করেন সৈকত ভৌমিক। সারাবাংলা ডটনেটে ধারাবাহিক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পরই জেকেজি হেলথকেয়ারের নমুনা পরীক্ষার অনুমতি বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারও করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বছর স্থানীয় পর্যায়ের প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যম ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার আবু রায়হান তানিন। ‘চট্টগ্রামে করোনা রোগী আইসিইউ পায় না, ১২ হাসপাতালের গল্প পুরোটাই ফাঁকি!’ শিরোনামের প্রতিবেদনের জন্য তিনি এ পুরস্কার পান।
অন্যদিকে, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেয়েছেন একাত্তর টেলিভিশনের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট মুফতি পারভেজ নাদির রেজা। ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজারে বিষাক্ত মিথানল’ শিরোনামর প্রতিবেদনের জন্য তিনি এ পুরস্কার জিতে নেন।
জেকেজি হেলথকেয়ার নিয়ে সৈকত ভৌমিকের ধারাবাহিক প্রতিবেদনটি পড়ুন নিচের লিংকগুলোতে—
- প্রথম পর্ব: করোনা পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রতারণার জাল
- দ্বিতীয় পর্ব: অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ধমক দিয়ে কাজ করাত জেকেজি হেলথকেয়ার
- তৃতীয় পর্ব: সরকারি খরচে বেসরকারি ‘প্রতারণা’ জেকেজি হেলথ কেয়ারের
- চতুর্থ পর্ব: চিকিৎসকরা পেত না পিপিই, জেকেজির জন্য ‘আনলিমিটেড’
- শেষ পর্ব: সরকারি চাকরি করেও ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজি’র চেয়ারম্যান
সারাবাংলা/এএম/টিআর