Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ঘিরে জনদুর্ভোগ, স্বস্তি পেতে আরও ৫ বছর

ঝর্ণা রায়, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ অক্টোবর ২০২১ ২৩:১০

ঢাকা: যানজট কমানোর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাকে একটি উন্নত ও আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। কিন্তু এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকার জনগণ ও যান চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় এই দুর্ভোগ মানুষের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত শেষ করা ছাড়া আপাতত দুর্ভোগ কমানোর কোনো উপায় নেই। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা, পেশাদারিত্বের অভাব আর অভিজ্ঞতা না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মেট্রোরেল

রাজধানীর যানজট কমাতে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প মেট্রোরেল নির্মাণ। এটি শুধু যানজট কমানোই নয়, এই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের পরিবহন ব্যবস্থায়ও আধুনিক যানবাহন যুক্ত হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালে শুরু হয় মেট্রোরেলের কাজ। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের জন্য গত পাঁচ বছর ধরে মিরপুর থেকে আগারগাঁও, ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি অর্ধেকেরও বেশি অংশ বন্ধ থাকে বেশির ভাগ সময়। ফলে অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীদের। বর্তমানে আগারগাঁও পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায় রয়েছে। ফলে কিছু কিছু জায়গা থেকে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সড়কপথ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের অনেক স্থানে সড়কের একাংশ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এই পথে চলাচলকারীদের। এ প্রসঙ্গে ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার সারাবাংলাকে জানান, তিনি মিরপুর থেকে প্রতিদিন মতিঝিলে অফিস করেন। আগে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতেন, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থেকে থেকে সময় নষ্ট হতো। এখন গণপরিবন কিংবা রাইড শেয়ার ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, ‘আগারগাঁও অংশে এখন যানজট কমলেও ফার্মগেট থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত প্রায় পুরো পথই জ্যামে বসে থাকতে হয়।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা নির্মাণ কাজের জন্য এতটাই সংকুচিত করা হয়েছে যে, একটা বাস চলাচলই কঠিন হয়ে পড়েছে। সারাদিন ভয়াবহ যানজট লেগে থাকে। কখনও কখনও হেঁটে চলাচলের উপায়ও থাকে না। সবকিছু মিলিয়ে মেট্রোরেল নির্মাণ শেষ করার যে টার্গেট সরকারের রয়েছে, তাতে আরও অন্তত ছয় মাস এই ভোগান্তি নিয়েই চলতে হবে ঢাকাবাসীকে।

বিজ্ঞাপন

বিআরটি

বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) সরকারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। ঢাকা ও গাজীপুর এলাকার যানজট কমাতে ২০১২ সালে একনেক সভায় অনুমোদন পায় ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট-বিআরটি-গাজীপুর-এয়ারপোর্ট’। কিন্তু বার বার নকশা বদল, নতুন নতুন অবকাঠামো যোগ আর সমন্বয়হীনতায় চার বছর মেয়াদী এই প্রকল্প নয় বছরেও শেষ করা সম্ভব হয়নি। সবশেষ বাড়ানো মেয়াদ অনুযায়ী এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে।

সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের প্রশস্ততা ১৮০ থেকে ১৯০ ফুট। অন্যদিকে, গাজীপুর অংশের কোথাও কোথাও সড়কের প্রশস্ততা ৬০ থেকে ৬৫ ফুট। বিআরটি প্রকল্পটির কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এই সড়কটি সরু হয়ে যায়। সড়কের মাঝ বরাবর পিলার বসানোয় ব্যস্ততম এই সড়কের প্রশস্ততা অর্ধেক হয়ে গেছে। যানবাহন ও পথাচারীদের চলাচলের জন্য যতটুকু অবশিষ্ট রয়েছে তাতেও কোথাও কোথাও নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে। র্দীঘ দিন এই সড়ক সংস্কারও করা হয় না, ফলে সড়কের কিছু কিছু স্থান ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা। এই পথের যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে বিআরটি প্রকল্প।

এ প্রসঙ্গে যাত্রাবাড়ী-গাজীপুর রুটের ভিআইপি বাসের চালক মুরাদ আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আগে প্রতিদিন চার/পাঁচটি ট্রিপ দেওয়া যেত। কিন্তু প্রকল্পের কারণে এখন সারাদিনে দুই ট্রিপের বেশি দেওয়া যায় না। তার ওপরে ফুয়েল ও গ্যাস খরচ বেশি হচ্ছে। যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। কারণ যাত্রীরা র্দীঘ সময় বসে থাকতে চান না। কম দূরত্বের যাত্রীরা বিকল্প যানবাহন ব্যবহার করছেন।’

এ প্রকল্পে জনভোগান্তি এতটাই চরমে উঠেছে যে, প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশ বিমানবন্দর থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত বিআরটি লাইন নির্মাণ থেকে সরে আসছে সরকার। অথচ মাত্র ২০ কিলোমিটার আলাদা বাসলাইন নির্মাণ করে ওই সড়কে বাস নামানোর কথা ছিল। বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘নানা কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়েছে। তবে এখন আর অসুবিধা হবে না। দ্রুত কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী বছরেই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। সে পর্যন্ত সবাইকে একটু কষ্ট করতে হবে।’

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

রাজধানীর যানজট অর্ধেক কমিয়ে আনার পাশাপাশি রাজধানীর উত্তর-দক্ষিণ অংশের সংযোগ ও ট্রাফিক ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো লক্ষ্যে ২০১১ সালে সরকার হাতে নেয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প। হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী- মহাখালী-তেজাগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ- যাত্রাবাড়ী-কুতুবখালী ( ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক) পর্যন্ত প্রায় ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চার বছর। সে লক্ষ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নামে প্রকল্পটি ওই বছরের ৩০ নভেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) প্রকল্পটি তিন ধাপে নির্মাণের কাজ শুরু করে সেতু বিভাগ। প্রথম ভাগের দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা হয় ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দ্বিতীয় ধাপে ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় ধাপে প্রকল্পের বাকি অংশ শেষ করার কথা। বর্তমানে প্রথম ভাগের ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটারের কাজ আগামী বছর শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করা হলেও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

রাজধানীর তেঁজগাও এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশাল এলাকা জুড়ে কাজ চলছে। এই কাজের কারণে জরাজীর্ণ তেঁজগাও রেলওয়ে স্টেশনে সংস্কার কাজে হাত দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে যাত্রীদের এই স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠা দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর মগবাজার মৌচাক হয়ে কুতুবখালী পর্যন্ত যখন কাজ শুরু হবে আরও দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেবে।

প্রকল্প পরিচালক প্রকল্প এম এস আকতার সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম অংশের কাজ এখন ৩৪ শতাংশের মতো বাকি রয়েছে। যা আগামী বছরেই শেষ করে সড়কটির একাংশ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া যাবে। উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু অসুবিধা তো হচ্ছেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখে কাজ চালিয়ে নেওয়ার।’

আরও যত প্রকল্প

রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে তিনটি রিং রোড বা বৃত্তাকার সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আউটার রিং রোড, মিডেল রিং রোড এবং ইনার রিং রোড। ইতোমধ্যে আউটার ও ইনার রিং রোড নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। মোট ৮৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হবে ইনার রিং রোড।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে এর ৬৩ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ৬৩ কিলোমিটার সড়ক আবদুল্লাহপুর থেকে গাবতলী, সোয়ারিঘাট হয়ে পোস্তগোলা, ডেমরা, নারায়গঞ্জ গিয়ে শেষ হবে। আর ডেমরা থেকে বালু নদের পাড় দিয়ে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার আরেকটা অংশ। এই অংশে সড়ক নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। আউটার রিং রোড হবে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে শুরু হয়ে কালাকান্দি- তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু, মদনপুর, ভুলতা হয়ে গাজীপুরের কড্ডা থেকে ঢাকা- ইপিজেড বাইপাইল দিয়ে হেমায়েতপুরে এসে থামবে। মোট ১৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা আউটার রিং রোডের ৪৮ কিলোমিটারই নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। বাকি ৮৪ কিলোমিটার বিদ্যমান সড়ককে উপযোগী করে তুলতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আউটার রিং রোডের একটি সমীক্ষা শেষ হয়েছে। কাজগুলো পুরোদমে শুরু হলে ওইসব এলাকার জনসাধারণকে আরেক দফা ভোগান্তি পোহাতে হবে। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পরে সে ব্যবস্থা রেখেই কাজ শুরু হবে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পাশাপাশি ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নামে আরেকটি প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু নানা কারণে এর কাজই শুরু করতে পারেনি সেতু বিভাগ। দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা না গেলেও এর পরীক্ষামূলক পিলার স্থাপন শুরু করা হয়েছে। এটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইন্টারসেকশন থেকে শুরু হয়ে আব্দুল্লাহপুর, আশুলিয়া, বাইপাইল ও নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) গিয়ে শেষ হবে ঢাকা- আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই উড়াল সড়ক যুক্ত হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে।

উন্নত দেশগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিকল্প ব্যবস্থা কীভাবে রাখে এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা চোখে পড়ে না কেন?- এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখানে পেশাদারিত্বের অভাবটাই বেশি দেখা যায়। একটি উন্নয়ন প্রকল্প যখন নেওয়া হয়, তখনই বিশদ উল্লেখ থাকে। যেমন- জনদুর্ভোগ যেন না হয়, বিকল্প সড়ক নির্মাণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, নির্মাণ সামগ্রী সুরক্ষিত রাখা, শুষ্ক মৌসুমে যাতে ধুলা বালির পরিমাণ বেড়ে না যায় এবং বর্ষায় যেন অতিরিক্ত কাদা না হয়। এসব বিষয় উল্লেখ থাকার পরও বাস্তবায়নে গিয়ে দেখা যায় এর কোনটিই ঠিক মত করা হয় না।’

তিনি বলেন, ‘মানুষকে যে ভোগান্তিতে রাখা যাবে না, এই সংস্কৃতি দেশের ঠিকাদারদের মধ্যে গড়েই ওঠেনি। তাছাড়া প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতাও ভোগান্তির বড় কারণ। আমরা দেখেছি, বিআরটি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বড় প্রকল্পগুলোতে যে দীর্ঘসূত্রিতা আর সমন্বয়হীনতা হয়েছে তাতে শুধু জনদুর্ভোগই নয়, খরচও বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ।’

এছাড়া আরও পাঁচটি মেট্রোরেল ও একটি পাতাল রেল নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এদিকে বড় প্রকল্প পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজও শেষ হচ্ছে। সেইসঙ্গে ঢাকা-মাওয়া সড়কে গাড়ির চাপ বাড়বে। ফলে রাজধানীতে যানজট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও কিছুটা স্বস্তির বিষয় যে, সামনের বছর মেট্রোরেলের একাংশ চালু হচ্ছে। কিন্তু ভোগান্তি থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হওয়া পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে রাজধানীবাসীদের।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

উন্নয়ন প্রকল্প জনদুর্ভোগ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর