Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চমেকে মারামারি, এবার নাছির অনুসারীর মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ নভেম্বর ২০২১ ১৮:০৩

সংঘর্ষের পর চমেক ছাত্রবাসে পুলিশ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান চমেকের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এর আগে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত চমেক শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।

গত শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে মারামারির ঘটনায় রোববার (৩১ অক্টোবর) রাত সোয়া ১২টায় নগরীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব পাল সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ছাত্রাবাসের কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর, মোবাইল চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে।

এর আগে, গত শুক্রবার চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে নওফেল ও নাছিরের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে নাছির অনুসারী দু’জন আহত হন। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার ক্যাম্পাসে উপমন্ত্রীর অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মাহাদি জে আকিবকে (২১) মারধর করে নাছির অনুসারীরা। পরে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও মারামারির ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত আকিব বর্তমানে চমেক হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনার পর শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাতই ছাত্রাবাস ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

মাহাদি জে আকিবকে মারধরের ঘটনায় চমেক ছাত্র তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়, যাদের সবাই চমেকের ছাত্র। এদের মধ্যে রক্তিম দে (২১) ও এনামুল হোসেন সীমান্ত (২১) নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মাহাদি জে আকিবের ওপর হামলার প্রতিবাদে শনিবার চমেক ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেন উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা চমেকের অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন। এছাড়া বিএমএ নেতা ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন— এমন অভিযোগও করা হয়।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

আ জ ম নাছির চমেক ছাত্রাবাস চমেকে মারামারি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর