বিজ্ঞাপন

চমেকে হামলা অধ্যক্ষের মদদে— অভিযোগ ছাত্রলীগের একাংশের

October 31, 2021 | 6:21 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবের ওপর হামলার বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘাতের জেরে অতর্কিত হামলার শিকার মাহাদি এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। এর প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাহাদির ওপর হামলার পেছনে চমেকের অধ্যক্ষের পরোক্ষ মদদ আছে বলে অভিযোগ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে চমেকের প্রধান ফটকে চমেক ছাত্রলীগের একাংশের ডাকে কর্মসূচিতে সংগঠনটির নগর কমিটির নেতারাও সংহতি জানান।

সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, ‘আকিবের ওপর কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে যে হামলা হয়েছে সেটা নিছক হামলা ছিল না, এটা ছিল হত্যার উদ্দেশে হামলা। আমাদের কাছে এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। ছাত্র নামধারী কিছু তরুণ বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে হত্যার মিশনে শামিল হয়েছিলেন। আকিব এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তাকে হত্যার প্রচেষ্টার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের মধ্যে দু’জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমাদের দাবি, কিলিং মিশনে যারা ছিল তাদের সবাইকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। মহানগর ছাত্রলীগ হামলাকারীদের, হত্যা প্রচেষ্টাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে চমেক ছাত্রলীগের পাশে থাকবে।’

সমাবেশে চমেক ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, একজন সহপাঠীকে খুনের উদ্দেশে যারা এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে, তারা কেউ শিক্ষার্থী হতে পারে না, তারা সন্ত্রাসী। তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। বিএমএ নেতা ফয়সল ইকবাল চৌধুরী এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে পরোক্ষ মদদ দিয়েছেন চমেকের অধ্যক্ষ শাহেনা আকতার। তিনি তার প্রশাসনিক ব্যর্থতা রাজনীতির ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। আমরা উনার পদত্যাগ দাবি করছি।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি একরামুল হক রাসেল, মাইনুল হাসান চৌধুরী শিমুল, আবুল মনসুর টিটু, সাব্বির সাকিব, চমেকের ইমন সিকদার, কেএম তানভীর, খোরশেদুল ইসলাম, শ্বাশত মজুমদার, মো. সাকি, রেজাউল করিম শ্রাবণ, তৌফিকুর রহমান, অভিজিৎ দাশ, কনক দেবনাথ, পিয়াল, মো. জামশেদ, মো. ফয়েজ, মো. জামিল এবং মো. আরিফ।

এর আগে, গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়। এতে নাছির অনুসারী দু’জন আহত হয়।

এই ঘটনার জের ধরে শনিবার ক্যাম্পাসে উপমন্ত্রীর অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মাহাদি জে আকিবকে (২১) মারধর করে নাছির অনুসারীরা। পরে দুইপক্ষে আবারও মারামারির ঘটনা ঘটে। আহত আকিব বর্তমানে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনার পর শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাতই ছাত্রাবাস ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।

মাহাদি জে আকিবকে মারধরের ঘটনায় তার ভাই তৌফিকুর রহমান বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যাদের সবাই চমেকের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে ঘটনার পর থেকে এখনও চমেক ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন