Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জামিন চেয়ে আরেক দফা বিফল বাবুল আক্তার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৩৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার আবারও জামিন চেয়ে বিফল হয়েছেন।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান অভিযুক্ত বাবুল আক্তারের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন।

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় তার বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারের জামিনের জন্য দ্বিতীয় দফা আবেদন করা হয়েছিল। এর আগে গত বছরের ১৮ আগস্ট আরও একদফা জামিনের আবেদন করে ব্যর্থ হন বাবুল আক্তার।

আরও পড়ুন-

বাবুল আক্তারের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মিস কেস করে দ্বিতীয় দফা জামিনের আবেদন করেছিলাম। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা ও তিন জন সাক্ষীর জবানবন্দিতে খুনের সঙ্গে বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার তথ্য এসেছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

গত বছরের ২১ অক্টোবর আসামি এহতেশামুল হক ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, বিশ্বস্ত সোর্স কামরুল ইসলাম শিকদার মুছাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে নিজের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে খুন করায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।

ওই জবানবন্দির পর গত ২৩ ডিসেম্বর কারাবন্দি বাবুল আক্তারকে স্ত্রী মিতু খুনের ঘটনায় তার দায়ের করা মামলায় আসামি হিসেবে দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআিই) চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। আদালত ৯ জানুয়ারি শুনানির জন্য সময় রেখেছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে।

স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর। এরপর আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দেওয়া চাঞ্চল্যকর এই মামলার।

২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। একই দিন দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আট জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাকি সাত আসামি হলেন— মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু ও শাহজাহান মিয়া।

ওই দিনই (১২ মে) বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বাবুল আক্তার বর্তমানে ফেনী কারাগারে আছেন। ওই বছরের ১০ আগস্ট মহানগর হাকিম আদালতে বাবুল আক্তারের প্রথম দফা জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

এসপি বাবুল আক্তার টপ নিউজ পিবিআই মিতু হত্যা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর