ঢাকা: ইউক্রেনে যুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশটির নাগরিকদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তারা বসবাস করতে কোনো সমস্যায় পড়বেন না। অর্থাৎ ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তারা কেউ অবৈধ হবেন না।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানকার বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত ইউক্রেনীয়দের বিষয়ে ভিসা নীতিমালা-২০০৬’ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশে অবস্থানরত ইউক্রেনের নাগরিকদের জন্য নেওয়া নতুন সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের নাগরিকদের যারা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন হলে ভিসা নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইউক্রেনের নাগরিকদের বাংলাদেশে অতিরিক্ত অবস্থানের বিষয়টি ভিসা নীতিমালার পরিপত্র অনুযায়ী অনিবার্য কারণে যেমন— প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, ফ্লাইট বাতিল ইত্যাদি কারণে কেউ অবৈধভাবে অবস্থান করলে তাদের অবস্থানের মেয়াদ অবৈধ বলে গণ্য হবে না। ইউক্রেনের নাগরিকদের ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরকে সার্বিক সহায়তা দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ইউক্রেনীয়দের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ, সমন্বয়ের জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (বহিরাগমন-২) মো. শাহরিয়াজ এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ ) মো. শিহাব উদ্দিন খানকে ফোকাল পয়েন্ট নিযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শিহাব উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, এরকম কোনো চিঠি এখনো হাতে পাইনি। তবে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের আমরা ভিসা দিতে পারব না। তাদের ভিসা দিয়ে থাকে বাংলাদেশ মিশন। এক্ষেত্রে আমরা তাদের তালিকা করে রাখতে পারি, যেন যাতে তারা কোনো আইনি সমস্যায় না পড়েন। পরবর্তী সময়ে ওই নাগরিক বাড়তি মেয়াদের ভিসা নিয়ে নিতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. শাহরিয়াজকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।