‘সংসদের মাধ্যমে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে’
১০ জুন ২০২২ ১৯:৪৪
ঢাকা : কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দর রাজ্জাক বলেছেন, ট্রুথ কমিশন অসাংবিধানিক হওয়ায় সেখানে দোষ স্বীকারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে বিদেশে অর্থ পাচারকারীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্স দিয়ে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনা হলে তাদের গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। কারণ সাংবিধানিক সরকারের সংসদের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের টাকা দেশে ফেরত আনার সুযোগ দিয়েছে। এই সুযোগ যারা গ্রহণ করবেন তাদের গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে এবং ভবিষ্যতে কোন প্রশ্ন তোলা হবে না।
শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ সব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থ কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-
- বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী
- বাজেটে ধনী ও পাচারকারীদের জয় হয়েছে: সিপিডি
- কর দিলে বৈধ হবে পাচার করা টাকা, কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেন না
- অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ পাচারকারীদের উৎসাহিত করবে: সিপিডি
ট্রুথ কমিশনে অপরাধ স্বীকার করে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ গ্রহণকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়নির এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ট্রুথ কমিশন গঠন করা নিয়ে সংসদের কোন কমিটমেন্ট ছিল না। সেটি আইন ধারা স্বীকৃত কোনো কমিশন ছিল না। সেটিকে কেবল কমিশনের মতো করা হয়েছিল। ফলে সেই কমিশনের দেওয়া প্রতিশ্রতি রক্ষা করা হয়নি।’
‘কিন্তু বর্তমানে বিদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সেটি জাতীয় সংসদের মাধ্যমে পাস করা একটা আইনি কমিটমেন্ট। কাজেই এটিকে ট্রুথ কমিশনের সঙ্গে মিলিয়ে দুইটাকে এক করা যাবে না।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ট্রুথ কমিশন গঠনের সময় দেশে সাংবিধানিক কোনো সরকার ছিল না। তখন দেশে একটা অসাংবিধানিক সরকার ছিল। সে সরকার নির্বাচিত সরকার ছিল না। বর্তমানে দেশে নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকার রয়েছেন। কাজেই আমাদের আইনের শাসন এবং সংবিধান মেনে চলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এই সরকারের ধারাবাহিকতাও রয়েছে। কাজেই এই সরকার যে প্রতিশ্রুতি দেবে তো পালন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি দীর্ঘদিন এই দেশে অনেক স্বৈরাচার সরকার দেশ শাসন করেছে। তারা গণতন্ত্রের লেবাস পড়ে কখনো স্বৈরাচারি সামরিক আইন জারি করে, দেশ শাসন করেছে। ফলে তারা তাদের অনেক প্রতিশ্রুতি রাখেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক সরকার। তারা সংবিধানের আলোকে দেশ শাসন করছেন। কাজেই এই সরকারের দেওয়া যে কোনো প্রতিশ্রতি অব্শ্যই পালন করবে।’
আরও পড়ুন-
- একনজরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট
- দেশীয় শিল্পের বিকাশে ১১ খাতে ভ্যাট অব্যাহতি
- বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান গুরুত্ব পাচ্ছে বাজেটে
- বাজেট বক্তৃতায় ‘ফিনিক্স পাখি’র গল্প শোনালেন অর্থমন্ত্রী
- জাতির পিতার সোনার বাংলার সুবর্ণরেখা স্পর্শ করার প্রত্যয়
- গ্রামে ৫ হাজার, নগরে ১৭৬০ কিলোমিটার নতুন সড়ক হবে
- মোবাইল আর্থিক সেবাসহ ব্যবসায় কর সহজ করতে ৯ প্রস্তাব
- অর্থবছরের জন্য ৬ চ্যালেঞ্জ, বাজেটে উত্তরণে প্রত্যয়ী অর্থমন্ত্রী
- আগামী অর্থবছরই হবে মহামারির প্রভাব কাটিয়ে ওঠার শেষ বছর
সারাবাংলা/জিএস/একে
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট কৃষিমন্ত্রী জাতীয় বাজেট ড. আবদুর রাজ্জাক বাজেট