বিশ্বব্যাংক এবং আমরা উভয়েই লাভবান হচ্ছি: পরিকল্পনামন্ত্রী
২২ আগস্ট ২০২২ ১১:৫৩
ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বিশ্বব্যাংক এবং আমরা উভয়েই লাভবান হচ্ছি। এখানে শুধু দেওয়া নেয়ার বিষয় নয়, তারা যে দিচ্ছে আমরা শুধু নিচ্ছি এমনটা না। আজকে চাওয়ার কোনো বিষয় না। তিনি বিদায় নিচ্ছেন ফলে বাজেট সহায়তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানির সচিব হিসেবে তিনি আমাদের জন্য অবশ্যই কাজ করবেন। সোমবার বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বনের সঙ্গে বিদায়ী বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের চলমান সম্পর্ক। মাঝে মাঝে টানাপোড়েন হলেও উন্নয়নসহযোগী হিসেবে এদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ভূমিকা রেখেছে। টেম্বনও বলেছেন, এদেশের প্রতি তার কৃত্রিম ভালোবাসা আছে। তাই আমরা আশা করতে পারি তিনি আমাদের বিষয়টি ভালোভাবেই নেবেন। তিনি উন্নয়ন দেখে গেলেন। তার সমনেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব খাতে ঋণ দিলে রস বা আউটপুট আসবে সেসব খাতে আমরা ঋণ নেব। তবে এটা মনে রাখতে হবে ঋণ দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের মধ্যেই পরিচিতি থাকা উচিত। আমার মতে শিক্ষা, গ্রামীণ অবকাঠামো, উন্নয়ন, দরিদ্র নিরসন এবং পাবলিক অবকাঠামো উন্নয়নে জন্য আরও ঋণ দরকার।
তিনি আরও বলেন, যারা বেল আউট কথা বলে তারা ভুল বলে। এটা ঠিক নয়। বেলআউট এই অঞ্চলে শুধু শ্রীলংকার হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের পর আমরা আগের অবস্থানে ফিরে যাব বলে আশা করছি।
মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশে কাজ করে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। কেননা এদেশের মানুষ খুবই ভাল। মানুষের যেকোন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতা আছে। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। বিশ্বব্যাংক এই উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে এবং থাকবে। তিনি জানান, গত ৩ বছরে ৫৫টি প্রকল্পে প্রায় ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার ছাড় হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৫ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,বাজেট সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া ৫ বছরের জন্য নতুন কা্িট্র পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক করা হচ্ছে। সেখানে সহযোগীতার অনেক বিষয় আসবে।
সারাবাংলা/জেজে/এসএসএ