ফরিদপুরে ব্যবসায়ীকে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:৩৯
ঢাকা: ফরিদপুরের পাট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিনকে হত্যার দায়ে তিন আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে একজন পলাতক রয়েছেন।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— মো. জামির আলী ওরফে জাবের, মো. এনামুল কবির ওরফে এনামুল কাজী ও মিন্টু শেখ। এর মধ্যে মিন্টু শেখ পলাতক রয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। আসামি পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও আইনজীবী মিন্টু কুমার মণ্ডল। আর পলাতক আসামি মিন্টু শেখের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় আসামিদের বয়স কম ছিল। এমন বিবেচনায় আসামিদের দণ্ড কমিয়ে দিয়েছেন আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার জন্য এর মধ্যে নোট দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ মুসরাত জেরীন এ মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করে।
মামলার বিবরণে থেকে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১০ সালের ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজবাড়ী জেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মসলিসপুর গ্রামের ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গিয়াসউদ্দিন পার্শ্ববর্তী জেলা ফরিদপুর সদর উপজেলার খলিলপুর বাজারে পাট বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন। স্থানীয় বারোখাদা ব্রিজের কাছে গিয়াস উদ্দিন পৌঁছালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২/৩ জন তাকে হত্যা করে। এরপর হত্যার অভিযোগ এনে ওই দিনই নিহতের স্ত্রী শিউলী বেগম ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস