মহড়া দিতে গিয়ে ধাওয়া খেল ‘আসল বিএনপি’
২৬ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪০
ঢাকা: দল পুনর্গঠনে ‘জনতার উচ্চ আদালত’ বসানোর মহড়া দিতে গিয়ে ধাওয়া খেয়েছে বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা কামরুল হাসান নাসিমের ‘আসল বিএনপি।’
শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ‘বিএনপি পুনর্গঠন’ আন্দোলনের ১৩ জন কর্মী-সমর্থক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কামরুল হাসান নাসিম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ২ টার দিকে বিএনপির পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা কামরুল হাসান নাসিমের ৩/৪ শ’ কর্মী-সমর্থক ‘পুনর্গঠন হবে, উচ্চ আদালত বসবে’ লেখা ব্যানার নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসে। সেখানে আগে থেকেই ঢাকা মহানগর বিএনপির একটি প্রস্তুতি সভা চলছিল। ওই প্রস্তুতি সভায় অংশ নেওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা কামরুল হাসান নাসিমের অনুসারীদের ধাওয়া দেয়। হাতের নাগালে পেয়ে কয়েকজনকে মারপিটও করে।’
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু সারাবাংলাকে বলেন, “হ্যাঁ, ওরা এসেছিল। আমরা ধাওয়া দেওয়ার আগেই চলে গেছে। ভালো মতো ‘দিতে’ পারিনি।”
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মিছিলে অংশ নেওয়া কামরুল হাসান নাসিমের অনুসারী মো. সবুজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘মতিঝিল নটরডেম কলেজের সামনে থেকে ফকিরের পুল মোড় হয়ে দুপুর ২টার দিকে নয়াপল্টনে পৌঁছানো মাত্রই আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। আমার নিজেরও জামা ছিঁড়ে গেছে, মোবাইল হারিয়েছে।’
পল্টন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুপুরের দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি বড় কোনো ঘটনা না।’
এদিকে ঘটনার ২ ঘণ্টা পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কামরুল হাসান নাসিম বলেন, ‘আজ ২৬ নভেম্বর। জাতীয়তবাদী জনতার নিম্ন আদালত বসানোর ৭ বছর পূর্তি হল। যে পাঁচটি অসুখ বিএনপির ছিল, তা সারানো যায়নি। সঙ্গত কারণে, পুনর্গঠনের দাবিতে নয়াপল্টন অভিমুখে সত্যিকারের জাতীয়তবাদী সৈনিকেরা গিয়ে বলেছে- হ্যাঁ, এখানেই বসবে জাতীয়তাবাদী জনতার উচ্চ আদালত। কিন্তু বরাবরের ন্যায় তারা হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে ১৩ জনকে গুরুতর আহত করেছে। ৬ জন কর্মীকে তারা বন্দি করেছে, যা উদ্বেগের বিষয়।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়— বিএনপি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সচল ছিল। দলের জাতীয়তাবাদীশ্রেণি পুনরায় রাজপথে নামছে। আমি কেবল সঠিক নির্দেশনা দিয়ে যাব। জাতীয়তবাদী হওয়া খুব সহজ নয়। একটি জাতির সংস্কৃতিকে লালন করার মধ্য দিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক আদর্শগুলোর সাথে সু সমন্বয়করত জনশ্রেণির কেন্দ্রীভূত উদ্রেক-ই হলো জাতীয়তবাদ। বাংলাদেশে জাতীয়তবাদী দল হওয়ার শর্ত পূরণ করেই রাজনীতি করতে হবে। তাই দেখা হয়ে যাবে রাজপথে, সভা কিংবা সমাবেশে। সে ধারাবাহিকতায় ২৯ নভেম্বর পুনরায় জাতীয়তবাদী সৈনিকেরা যাবে। দলের মধ্যকার অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এই লড়াই চলেছে ও চলবে।
সারাবাংলা/এজেড/একে