Saturday 12 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪ জনের পরিবারে মাসে খাবার খরচ ২৩ হাজার টাকা: সিপিডি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ মার্চ ২০২৩ ১৭:৪৫

ঢাকা: মূল্যস্ফীতির কারণে রাজধানীতে চার সদস্যর একটি পরিবারের মাছ মাংসসহ মাসিক কেবল খাদ্য গ্রহণে ব্যয় হচ্ছে ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা। আর মাছ, মাংস ছাড়া বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি দিয়ে খেতে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিবারের মাসিক খরচ হচ্ছে ৭ হাজার ১৩১ টাকা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খাদ্য গ্রহণে ব্যয় করতে বর্তমানে অনেক পরিবারের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি‘র কার্যালয়ে আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ সিপিডি‘র সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট সুপারিশমালার বিস্তারিত তুলে ধরে সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলেন সিপিডি‘র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. তৌফিক ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

সিপিডি‘র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘ঢাকা শহরে চার জনের একটি পরিবারের খাদ্যে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে তা আমরা গবেষণা করে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে নির্ধারণ করেছি। আর এই ক্ষেত্রে একটি পরিবারের খাদ্য ব্যয়ের হিসাবকে আমরা দুইভাবে ভাগ করেছি। একটি হচ্ছে রেগুলার ডায়ট। রেগুলার ডায়টে থাকছে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, চাল, ডাল, আদা রসুন, পেঁয়াজ, হলুদ, মরিচসহ ১৭টি খাদ্য পণ্য এসব তালিকায় রয়েছে। এই খাবার গ্রহণে চার সদস্যর একটি পরিবারের মাসিক ব্যয় ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা।’

অন্যদিকে কম্প্রোমাইজড ডাইট হচ্ছে দুর্বল খাদ্য তালিকা। যেখানে মাছ মাংস ছাড়া বাকি খাবারগুলো তালিকায় রাখা হয়েছে। আর এতে খরচ হবে ৭ হাজার ১৩১ টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের বাজার ধর বিবেচনায় এই হিসাব করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘মাছ মাংস যুক্ত করে যে খাবার তালিকা করা হয়েছে সেটাকে আমরা বলছি রেগুলার ডায়ট। আর এই হিসাবটি আমরা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে করেছি। সেটি হলো একজন মানুষ বছরে কতখানি মাছ মাংস খেতে হয় বা খায়। এই হিসেবে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিবারের এক মাসে খাদ্য খরচ ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা। আমরা এর আগে দেখিয়েছি, এই পরিমাণ অর্থ অনেক মানুষের পক্ষেই সংকুলান করা সম্ভব না। কারণ তাদের মাসিক যে আয় সেটি কিন্তু এই খরচের চেয়ে অনেক কম। বেশিরভাগ শ্রমিকদের আয় এর চেয়ে কম। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে সেটি অনুভব করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি দেশে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। কিন্তু কোনো কোনো পণ্যর মূল্যস্ফীতি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত চলে গেছে।ফলে বাজারের যে গড় মূল্যস্ফীতি দেখা যায়, সেটি কিন্তু পণ্য অনুযায়ী মিল নেই।’

তিনি বলেন,‘২০২২-২৩ অর্থবছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ মাংস ছাড়াও কম্প্রোমাইজড খাদ্যেও ২৫ শতাংশের ওপরে মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। বলা যায় ৮ দশমিক ৭৮ মূল্যস্ফীতির চেয়ে অনেক বেশি দাম বেড়েছে। যা আমরা গড় মূল্যস্ফীতি দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

ফ্যামিলির খরচ সিপিডি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর