।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : পবিত্র রমজান মাস ও সেশন জট বিবেচনা করে পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছেন কোটা আন্দোলনকারীরা। তবে কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপণ জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৯ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
মামুন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর, নির্যাতন ও হলত্যাগের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। একটি ‘অতি উৎসাহী ও কুচক্রী মহল’ সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য এ সব নোংরা ও ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণ দর্শানোর নামে সাধারণ ও নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘রমজান মাস ও সেশনজটের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হলো। তবে কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপণ জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি আগের মতো চলমান থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, নুরুল হক নুর, ফারুক হোসেনসহ অন্যরা।
‘কুচক্রী মহল ও অতি উৎসাহী’ কারা—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ছাত্রলীগের একটি অনুপ্রবেশকারী দল সাধারণ ছাত্রদের হয়রানি করছে। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে, তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নুরুল হক বলেন, ‘ বিচার না হওয়ার কারণে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। তাদের বিচার না হওয়াতে আমরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি যে, সরকার তাদের উৎসাহ দিচ্ছে কি না।’
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে গত ৮ এপ্রিল রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। তখন পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে এ আন্দোলন ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর এখনও প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এ কারণে আন্দোলনকারীরা প্রজ্ঞাপন চেয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (১৪ মে) দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এমএইচ/একে
আরও পড়ুন
এবার ছাত্রীদের ওপর চড়াও ছাত্রলীগ, ঢাবি ক্যাম্পাসে র্যাব
কার্জন হলেও দাঁড়াতে পারলেন না আন্দোলনকারীরা
আন্দোলন দমাতে পুলিশ-ছাত্রলীগ, ঢাবি ক্যাম্পাসে ভীতি-উত্তেজনা
পুলিশি হামলার প্রতিবাদে হল ছেড়ে রাস্তায় ঢাবি ছাত্রীরা
শাহবাগ থেকে আন্দোলনকারীরা ঢাবিতে, সংঘর্ষ চলছেই
কাঁদুনে গ্যাসে ছত্রভঙ্গ শাহবাগে আন্দোলনকারীরা
কোটা সংস্কার: মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা
কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন
ঢাবিতে ছাত্রী হলে মারধরের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেত্রী বহিষ্কার
হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজ-খবর নিলেন ঢাবি ভিসি
বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকাল বন্ধ সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook