‘হেসেখেলে’ জয়ের পথে নৌকার ৫ প্রার্থী, ১০টিতে জোর লড়াই
৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৭ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে নির্ভার আওয়ামী লীগ। এ আসনগুলোতে হেসেখেলে জয়ের পথে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। তবে বাকি ১০টি আসনে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। সেগুলোতেও নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে লড়াই-প্রতিযোগিতা যা-ই হোক, ভোটারদের প্রত্যাশা— নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, বিনা বাধায় ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে যেন তাদের ভোটটা দিয়ে আবার নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন।
নির্বাচনের মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন— এমন নাগরিকরা বলছেন, দেশের ৫২ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে এবারের নির্বাচন বেশ ব্যতিক্রম। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে ছাড়াই এ নির্বাচনে ভোটার টানার যে কৌশল সরকার নিয়েছে, সেটি কতটুকু সফল হচ্ছে তা প্রমাণ হবে আগামীকাল রোববার (৭ জানুয়ারি)। অন্যদিকে ব্যবসায়ী নেতারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ নির্বাচনের দিকে ক্যামেরা তাক করে রেখেছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনি প্রচার শুরু হয়, শেষ হয়েছে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায়। ১৯ দিনের প্রচারে চট্টগ্রামের পটিয়া বেশ সংঘাতমুখর ছিল। বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, সন্দ্বীপ থেকে নির্বাচনি সংঘাতের খবর এসেছে। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠ শান্তিপূর্ণই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন- পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে ভোটের অপেক্ষায় চট্টগ্রাম
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় বিভিন্ন পর্যায়ের জনগণের সম্পৃক্ততা আমরা দেখেছি। দলীয় প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকায় কিছু নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা আমরা দেখেছি। ফৌজদারি যেসব ঘটনা আসনভিত্তিক ঘটেছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে অপরাধের ধরন অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শুধু চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে ওভারঅল বলতে পারি, পটিয়া একটা-দুইটা ঘটনা একটু চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। এ ছাড়া খুব বড় ধরনের ঘটনা প্রচারের মধ্যে আমরা দেখিনি।’
চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ১২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে পাঁচটি আসনে ‘নামকাওয়াস্তে’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার মধ্যে তিনটি বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের আসন। জয়ের পথে থাকা আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন— চট্টগ্রাম-২ (সীতাকুণ্ড ও নগরীর একাংশ) আসনে এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীর একাংশ) আসনে হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।
আরও পড়ুন- এক নির্বাচনে টালমাটাল চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগ
জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে বাকি ১০টি আসনে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার মাহবুব রহমান রুহেলের সঙ্গে ঈগল প্রতীকে গিয়াস উদ্দিন জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ও তরমুজ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আবু তৈয়বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তৈয়বও আওয়ামী লীগ নেতা। এ আসনে গত দুবারের সংসদ সদস্য ১৪ দলীয় জোটভুক্ত তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি নৌকাকে সমর্থন দিয়ে এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে তার চাচাতো ভাতিজা বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন হাসান আল মাইজভাণ্ডারি একতারা প্রতীকে নির্বাচনের মাঠে আছেন।
আরও পড়ুন- চট্টগ্রামে নির্বাচনি সরঞ্জাম বহনকারী বাসে আগুন
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপে) নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে ডাক্তার জামাল উদ্দিন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসন এবারও জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। গত তিনবারের সাংসদ আনিসুল এবারও প্রার্থী হয়েছেন। তবে তাকে জোর লড়াইয়ে ফেলেছেন কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনটিও জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে দলটির প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ ভোটের মাঠে লড়াইয়ের বার্তা দিতে পারেননি। এ সুযোগে সেখানে জোর লড়াই হচ্ছে দুই আওয়ামী লীগ নেতা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম এবং একই কমিটির সদস্য ও সাবেক চসিক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরীর মধ্যে। ছালামের প্রতীক কেটলি ও বিজয়ের প্রতীক ফুলকপি।
আরও পড়ুন- ‘ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব’
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর, খুলশী ও পাঁচলাইশের একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর সঙ্গে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন দুজন। এরা হলেন— চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম ও সাবেক যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ। মনজুরের প্রতীক ফুলকপি আর ফরিদের কেটলি। এ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে তিনবারের সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফকে লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়েছেন কেটলী প্রতীকে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চসিক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া ঈগল প্রতীকের সামশুল হক চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর। প্রচার শুরুর পর থেকে সংঘাতের কারণে আসনটিতে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে ব্যাপক সংশয় আছে।
আরও পড়ুন- তেড়ে গিয়ে লতিফ বললেন— সুজন্যা এডে কিল্লাই আইস্যি
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুল জব্বার চৌধুরীর সঙ্গে।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে দুবারের সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর সঙ্গে জোর লড়াইয়ে আছেন একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের আব্দুল মোতালেব। তিনি সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে মোতালেব নির্বাচনের মাঠে এসেছেন।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে দুবারের সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঈগল প্রতীকের মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন- চট্টগ্রামে ভোটকেন্দ্রে আগুন
দেশে অনুষ্ঠিত অন্তত ছয়টি সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ভোটগ্রহণ সরাসরি কাভারের অভিজ্ঞতা আছে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রফিকুল বাহারের।
চট্টগ্রামে এবারের নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে নিজস্ব বিশ্লেষণ জানতে চাইলে একুশে টেলিভিশনের আবাসিক সম্পাদক রফিকুর বাহার সারাবাংলাকে বলেন, ‘এবারের নির্বাচন ৫২ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসের মধ্যে সবচেয়ে ব্যতিক্রমী নির্বাচন বলে মনে হচ্ছে। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ায় এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, এমন আলোচনা আছে।’
‘সেটা সামলাতে সরকার যে কৌশল নিয়েছে, সেই কৌশল আদৌ সফল হচ্ছে কি না সেটা আগামীকাল (রোববার) ভোটগ্রহণের সময় টের পাওয়া যাবে। এবার নৌকার প্রার্থী আছে, আবার নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী আছে। জাতীয় পার্টিসহ আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী আছে। নানা কৌশলে ভোটারদকে যদি ভোটকেন্দ্রে আনা যায়, সেটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা হতে পারে।’
আরও পড়ুন- এবার পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি মোস্তাফিজের!
প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেমন দেখছেন— জানতে চাইলে বাহার বলেন, ‘এখানে নৌকা প্রতীকের কয়েকজন প্রার্থীকে খুব নির্ভার দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ উনারা জিতে যাবেন। এর মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হাছান মাহমুদ, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী আছেন। এর বাইরে বাকি আসনের অনেকগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, এটাও একটা ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা। নগরে এম মনজুর আলম নৌকার মহিউদ্দিন বাচ্চুকে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেলেছেন বলে মনে হচ্ছে।’
‘বন্দর আসনের নির্বাচনটা এবার আরও ডিফারেন্ট মনে হচ্ছে। এ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে পরাজিত করে জিতেছিলেন আওয়ামী লীগে নবাগত ব্যবসায়ী এম এ লতিফ। এবার সেই লতিফের বিরুদ্ধে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন প্রার্থী হয়েছেন, যিনি নিজেও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের একজন নেতা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৭ বছরের মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কিন্তু মেয়র নির্বাচনে হারিয়ে দিয়েছিলেন একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম মনজুর আলম। এখন ১৫ বছরের এমপি লতিফকে যদি ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন হারাতে পারেন, সেটা বড় চমক হবে,’— বলেন রফিকুল বাহার।
নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষণ জানতে চাইলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব সারাবাংলাকে বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে, এটা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি আমার মনে হয় দেশের সব শ্রেণি-পেশার সব নাগরিকের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু একটা পক্ষ নির্বাচনে আসেনি। পরীক্ষার তারিখ পড়ে গেছে, কোনো ভালো ছাত্র যদি পরীক্ষা দিতে না আসে, সেখানে পরীক্ষকের তো কোনো দায় থাকতে পারে না। তবে ভালো ছাত্ররা এলে পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা বাড়ত। বর্জনে ভালো কিছু অর্জন হয় না।’
আরও পড়ুন- দু’বেলা পেটভরে ভাত— যাদের কাছে ভোট মানে এটুকুই
‘এবার নির্বাচনে দেখছি, প্রার্থীদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। প্রার্থীরাই বলছেন, ভোটাররা আসুক, যাকে ইচ্ছা ভোট দিক, ভোট ছাড়া কেউ জয়ী হতে পারবে না। এটা সবচেয়ে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। কাল (রোববার) সুন্দরভাবে ভোটটা হয়, ৪০ শতাংশ মানুষও যদি ভোটকেন্দ্রে আসেন, তাহলে এটাকে ভালো নির্বাচন বলতে হবে।’
আবু তৈয়ব আরও বলেন, ‘এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ীদের যেমন প্রত্যাশা আছে, তেমনি নির্বাচনের দিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও ক্যামেরা লাগানো আছে। সুতরাং একটি সুন্দর নির্বাচন হতেই হবে। এর বিকল্প নেই। আমরা নির্বাচনে তিন পক্ষকেই বিজয়ী দেখতে চাই। প্রথম পক্ষ নির্বাচন কমিশন, যাদের দায়িত্ব হচ্ছে সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া। দ্বিতীয় পক্ষ সরকার, যারা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু হতে সহায়তা করবে। আর তৃতীয় পক্ষে আছেন প্রার্থীরা। উনারা সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখবেন, ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দিতে দেবেন এবং জনরায় মেনে নেবেন।’
সারাবাংলা/আরডি/টিআর
আওয়ামী লীগ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এস এম আল মামুন চট্টগ্রাম জাতীয়-নির্বাচন নৌকার প্রার্থী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সংসদ নির্বাচন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হাছান মাহমুদ