Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, বেইলি রোড থেকে ৪৩ মরদেহ হাসপাতালে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ মার্চ ২০২৪ ০২:১৬

ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ থেকে গ্রিন কোজি কটেজে ছড়িয়ে পড়া আগুনে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ভবন থেকে ৪৩টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। অচেতন রয়েছে আরও অনেকে। তাদের মধ্যেও কারও কারও মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌন ২টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেইলি রোডের আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জন ও ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জনের মরদেহ রয়েছে।

গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগাত পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও বিজিবি সদস্যরা। ওই ভবন থেকে ৪৩ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। তাদের কয়েকজন মারা গেছেন। বাকি আরও কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশির ভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা বেঁচে আছে তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। বাইরে আরও কেউ আছে কি না, এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঢামেক ১৪ জন ও বার্ন ইনস্টিটিউটে আহত অবস্থায় আটজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। ড. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত চলে এসেছি। প্রধানমন্ত্রীও আমাকে দ্রুত আসতে বললেন। এখানে এসে যা দেখলাম তা ভয়াবহ। এখনো যারা জীবিত আছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবার জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রাত ২টার দিকে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢামেক হাসপাতালে যেসব মরদেহ রয়েছে তাদের মধ্যে ১৩জন নারী, ১৪ জন পুরুষ ও তিনটি শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউটের মরদেহগুলোর লিঙ্গ পরিচয় এখনো শনাক্ত করা হয়নি।

বেইলি রোডের ওই ভবনে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে আগুন লাগে। ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছিল। এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন লাগার খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ক্যাম্প থেকে আনসার সদস্যরা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা রক্ষা ও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এজিবি সদস্যের একটি প্লাটুন মোতায়েন করা হয়। পরে বিজিবি সদস্যরাও সেখানে যুক্ত হন।

রাত ১২টার দিকে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন প্লাটুন সাধারণ আনসার ও এক প্লাটুন আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্য মোতায়েন ছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আনসার ও বিজিবি সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করছেন।

ভবনটির ছাদসহ বিভিন্ন তলায় অনেকেই আটকা পড়েছিলেন। টার্ন টেবল ল্যাডার (টিটিএল) ব্যবহার করে ছাদ ও বিভিন্ন তলা থেকে সবাইকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও বিজিবি সদস্যরা।

আরও পড়ুন:

বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, বেইলি রোড থেকে ৪৩ মরদেহ হাসপাতালে

বেইলি রোডে আগুন: ঢামেকে ১১ মরদেহ, আরও বহু মৃত্যুর শঙ্কা

২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে বেইলি রোডের আগুন

বেইলি রোডে আগুন: কাঁচ ভেঙে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা

বেইলি রোডে আগুন: ছাদে এখনো অর্ধশত মানুষ

বেইলি রোডে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে আনসার-বিজিবি

বেইলি রোডে ভবনে আগুন, ১৩ জন ঢামেক হাসপাতালে

নিয়ন্ত্রণে আসেনি বেইলি রোডের আগুন, জীবিতদের উদ্ধার চলছে

বেইলি রোডে আগুন: ঢামেকে ১১ মরদেহ, আরও বহু মৃত্যুর শঙ্কা

সারাবাংলা/ইউজে/এসএসআর/টিআর

বেইলি রোড আগুন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর