ভোটের পর কৃষ্ণাঙ্গদের বর্ণবাদী বার্তা, তদন্তে এফবিআই
৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:২০
যুক্তরাষ্ট্রেজুড়ে কৃষ্ণাঙ্গদের বর্ণবাদী বার্তা পাঠানোর ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই। আলাবামা, উত্তর ক্যারোলিনা, ভার্জিনিয়া, নিউ ইয়র্ক এবং পেনসিলভানিয়াসহ অঙ্গরাজ্যগুলোর বার্তা প্রাপকদের মধ্যে স্কুল ও কলেজের ছাত্রসহ কৃষ্ণাঙ্গ মানুষরাও ছিলেন।
এফবিআই বলেছেন, সারাদেশের ব্যক্তিদের কাছে প্রেরিত আপত্তিকর এবং বর্ণবাদী বার্তা সম্পর্কে সজাগ রয়েছেন এবং বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে তারা।
মার্কিন নির্বাচনের পরের দিন বুধবার (৬ নভেম্বর) থেকে বার্তাগুলো আসা শুরু করে বলে জানা যায়। কিছু কিছু বার্তায় ট্রাম্পের প্রচারণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে প্রচারাভিযানের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেছেন, ‘এই বার্তাগুলোর সাথে প্রচারণার কোনও সম্পর্ক নেই।’
বিবিবি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনামী বার্তাগুলোর উৎস এবং পাঠানো মোট সংখ্যা এখনো অস্পষ্ট।
ইন্ডিয়ানাতে একজন ৪২ বছর বয়সী মা তার উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়ের পাওয়া বার্তা বিবিসিকে পাঠিয়েছেন। বিবিসি’র পাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, আপনার নিকটতম প্ল্যান্টেশনের দাস হওয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আপনাকে একটি সাদা ভ্যানে তুলে নেওয়া হবে। আপনার গন্তব্যে পৌঁছে গেলে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসন্ধান করা হবে।
পরিচয় গোপন রেখে ওই নারী বলেন, বার্তাগুলো ‘অত্যন্ত, অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ এবং তিনি ‘দুর্বলবোধ’ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি আমেরিকার ইতিহাসের কারণে হতে পারে। তবে নির্বাচনের পরের দিনে বার্তা পাওয়ার বিষয়টি একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা হতে পারে।’
অন্য একজন প্রাপক হেইলি ওয়েলচ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও বার্তা পেয়েছেন। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটি একটি রসিকতা, কিন্তু পরে দেখলাম অন্য সবাই সেগুলো পাচ্ছে। সবাই বার্তা পাঠাচ্ছিল, তাদের গল্প পোস্ট করছিল। বলছে যে তারা সেগুলি পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুব চাপে ছিলাম এবং আমি ভয় পেয়েছিলাম কারণ আমি জানতাম না কি ঘটছে।’
ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের চেয়ারম্যান জেসিকা রোজেনওয়ারসেল বলেছেন, ‘এই বার্তাগুলো অগ্রহণযোগ্য। আমরা এই ধরণের ঘটনাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিই।’
বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বার্তাগুলো সম্পর্কে সচেতন আছেন। বাসিন্দাদের উৎসাহিত করেছেন যদি তারা সেগুলো গ্রহণ করেন তবে কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে।
সারাবাংলা/এইচআই