সাতক্ষীরা: বৈষম্য দূর করে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেড প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতারের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সরকারি সেবা-পরিসেবা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছায়। এসব সেবা প্রদানে ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত জনবলের মধ্যে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের (পূর্বতন ইউপি সচিব) পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মাধ্যমেই তৃণমূল মানুষ সরকারি সেবা পেয়ে থাকে।
ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ১৯৯০ সাল থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ করা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা দফতরে কর্মরত সমপদে বা নিম্নপদের অনেকেরই যেমন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, ‘গ’ শ্রেণীর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক/সহকারী শিক্ষক, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের ফিল্ড এসিসট্যান্ট, পুলিশের এসআইদের বিভিন্ন সময়ে বেতন স্কেল আপগ্রেড করা হলেও ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদটি সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বারবার জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়নি। এতে সবধরনের সেবা পরিসেবার জন্য গঠিত ইউনিয়ন কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বপালনকারী ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মারাত্মক বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। একইসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
স্মারকলিপিতে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, সময়োপযোগী নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান, মন্ত্রণালয় হতে শতভাগ বেতন-ভাতা প্রদান, শতভাগ অবসরকালীন আনুতোষিক প্রদান অথবা পারিবারিক পেনশন প্রদান এবং স্থানীয় সরকার অধিদফতর গঠনের দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি সেরাজুর রহমান, সহসভাপতি কবীরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান, রেহানা খাতুন, নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।