কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ অপহরণকারীর মৃত্যু
৭ জুন ২০১৯ ০৯:২২
কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন জন মারা গেছেন। পুলিশের দাবি, ওই রোহিঙ্গা বাসিন্দা তিনজন একটি অপহরণকারী দলের নেতা ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল। শুক্রবার (৭ জুন) ভোরে টেকনাফের সাগর উপকুলবর্তী মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন- উখিয়ার থ্যাংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের ছেলে শামসুল আলম (৩৫), একই ব্লকের মোক্তার আহমদের ছেলে নুরে আলম (২১) ও লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আজিজুর রহমানের ছেলে মো. হাবিব (২০)।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৮টি দেশিয় তৈরি অস্ত্র (এলজি) ও ৮ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সেকান্দর, মো. এরশাদুল ও সৈকত বড়ুয়া।
ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, নিহত তিনজন একটি অপহরণকারী দলের নেতা ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল। কিছু দিন আগে তিন বছরের এক রোহিঙ্গা শিশুকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে তারা। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করে।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে লেদা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে অপহরণকারীদলের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে ওই তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ তিনটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সারাবাংলা/এমএইচ